অনিনি
অনিনি | |
---|---|
জেলা সদর | |
অরুণাচল প্রদেশে অনিনি শহরের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৮°৪৭′৫৩″ উত্তর ৯৫°৫৪′১৩″ পূর্ব / ২৮.৭৯৮০৬° উত্তর ৯৫.৯০৩৬১° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | অরুণাচল প্রদেশ |
জেলা | দিবাং উপত্যকা |
উপজেলা | অনিনি সার্কেল |
উচ্চতা | ১,৯৬৮ মিটার (৬,৪৫৭ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০০১) | |
• মোট | ২,২৬৪ |
বিশেষণ | অনিনী |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন (ভারত) | ৭৯২১০১ |
ভারতীয় টেলিফোন প্রিফিক্স | ০৩৮০১ |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | ইন |
জলবায়ু | মহাসাগরীয় জলবায়ু#প্রায় ক্রান্তীয় পার্বত্যাঞ্চল জাত |
জনসংখ্যা[১] |
অনিনি হল উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের দিবাং উপত্যকা জেলার সদর দফতর। অনিনি অবিভক্ত দিবাং উপত্যকা জেলারও জেলা সদর ছিল। মূলত সব সুবিধা থেকে দূরত্বের কারণে এটি একটি ছোটো অনুন্নত শহর। তবুও, ভারতের বাকি অঞ্চলের সাথে এটির যোগাযোগের প্রাথমিক রাস্তাঘাট এখনও রয়েছে। ইদু মিশমি উপজাতির লোকেরা এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ। শহরটি পুরোপুরি নিকটতম বড়ো জনপদ রইংএর উপর নির্ভরশীল। শহরটি নিম্ন দিবাং উপত্যকা জেলায় রয়েছে এবং অনিনি শহরের বেশিরভাগ বাণিজ্যিক প্রয়োজন এখান থেকেই মেটাতে হয়।
ব্যুৎপত্তি
অনিনির নাম হয়তো ইনিনি বা ইন্নিনি থেকে এসেছে। ২০০১ সালে দিবাং উপত্যকা জেলা থেকে নিম্ন দিবাং উপত্যকা জেলাটি খণ্ডিত করে তৈরির আগে[২] এবং রইং তৈরির আগে, অরুণাচল প্রদেশের ঐতিহাসিক মানচিত্রগুলিতে, দেখানো আছে দিবাং উপত্যকা জেলার রাজধানীটি হল "ইনিনি"।[৩] এই নামটি হয়তো ইদু শব্দ "ইন্নি" থেকে এসেছে। ইন্নি হলেন ইদু মিশমির সর্বশক্তিমান দেবতা।[৪]
ইতিহাস
অরুণাচল প্রদেশের ইতিহাসের মতো অনিনির ইতিহাস নিয়েও ধোঁয়াশা আছে। বলা হয়ে থাকে, আদি ইদু মিশমি এবং অন্যান্য উপজাতি, ১ম বা খ্রিস্টপূর্ব ১ম সহস্রাব্দে প্রাচীন তিব্বত থেকে চলে এসেছিল। তারা লোয়ুতে এসে থেমেছিল বলে মনে করা হয়। সপ্তম শতাব্দীর আশপাশে লোয়ু তিব্বতীয় নিয়ন্ত্রণে ছিল।[৫] যদিও সমস্ত সময়েই ইদু মিশমিরা এখানে বসবাস করত, কিন্তু, নেফা এবং ব্রিটিশ রাজের সময় থেকেই অনিনি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অনিনির গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছিল, যখন আসামের লেদো রোডের মাধ্যমে চীনে খাদ্য সরবরাহ ও সৈন্য প্রেরণের দরকার হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতের অন্যান্য অংশের মতো অনিনিও ভারত অধিরাজ্যের একটি অংশে পরিণত হয়। এই সময় চীন প্রজাতন্ত্রের অরুণাচলের বেশিরভাগ অংশ দাবি করে বসে, এর ফলে তখন থেকেই এটি এবং আকসাই চিন বিবাদাত্মক স্থানে পরিণত হয়। ১৯৪৯ সালে গণচীনের উত্থান হয়, এবং একবার ব্রিটিশরা ১৯৫০ সালে চলে যাবার পর, অরুণাচল এবং আকসাই চিন বিবাদাত্মক স্থানরূপে পরিচিত হয়ে আছে। ১৯৮০ সালের জুনে, লোহিত জেলা থেকে খণ্ডিত করে, অবশেষে দিবাং উপত্যকা জেলা তৈরি করা হয়েছিল, এবং অনিনিকে রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।[৬] সেই থেকে অনিনিই একমাত্র জেলা সদর, যার ভারতের বাকি অংশের সাথে সঠিক রাস্তার যোগাযোগ নেই।
ভূগোল
অনিনির অধিকাংশ অঞ্চল দিবাং নদীর দুটি শাখা নদী, ড্রাই নদী এবং মথুন নদীর মধ্যে একটি ক্ষুদ্র মালভূমিতে অবস্থিত। এই শহরের নিজস্ব একটি উপ জেলা রয়েছে: অনিনি সার্কেল।[১] ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে দিবাং উপত্যকা জেলার অনিনি সার্কেলের জনসংখ্যা মোট ৪,৪৮৯ জন। এর মধ্যে ২,৪৮১ জন পুরুষ এবং ২,০০৮ জন মহিলা।[৭] দিবাং বন্যজীবন অভয়ারণ্যের দক্ষিণে অনিনির অবস্থান একে উত্তর-পূর্ব ভারতের উত্তরতম জেলা সদর করে তুলেছে।
উচ্চতা
অনিনির ছোট্ট বসতি অঞ্চলটি সমুদ্রতলের ওপর ১,৯৬৮ মিটার (৬,৪৫৭ ফু) উচ্চতায় অবস্থিত।[৬][৮] অনিনির মালভূমিতে, গড় উচ্চতা ১,৮০০& nbsp;মিটার,[৯] তবে শহরের গড় উচ্চতা ২,০৬৮ মিটার। গুগল ম্যাপস ভূখণ্ডের বৈশিষ্ট্য অনুসারে, অনিনি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১,৬০০–১,৮০০ মিটার উপরে অবস্থিত; এবং অনিনির উত্তরে, উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩,৮০০ মিটারও হয়েছে। দিবাং উপত্যকা জেলার সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, অনিনইর উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,৯৬৮ মিটার উপরে।[১০]
উৎস, তথ্যসূত্র, উদ্ধৃতি
- ↑ ক খ "Sub-District Details: Anini Circle"। Census of India, 2001। 21 June 2011 তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ June 2011। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "History"। Lower Dibang Valley, The Official Website। District Administration, Lower Dibang Valley District। 26 May 2011 তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ June 2011। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "Dibang Valley Map"। River Maps of Arunachal Pradesh। Maps of India। 2007। সংগ্রহের তারিখ June 2011। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "People: Ethnic Lhoba"। China Destinations Guide। Hiker Thinker। সংগ্রহের তারিখ June 2011। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - ↑ Xiaoming Zhang (২০০৪)। China's Tibet। 五洲传播出版社। পৃষ্ঠা 23। আইএসবিএন 7-5085-0608-1।
- ↑ ক খ Veeranki Maheswara Rao (২০০৪)। Tribal Women of Arunachal Pradesh: socio-economic status। Mittal Publications। পৃষ্ঠা 83। আইএসবিএন 81-7099-909-X।
- ↑ "Anini Circle Population, Caste, Religion Data - Dibang Valley district, Arunachal Pradesh"। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Dibang Valley District Administration"। Dibang Valley District official website। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৮।
- ↑ D. Biswas; B. J. Borkakoty; J. Mahanta; L. Jampa; L. C. Deouri (October 2007)। "Hyperendemic Foci of Hepatitis B Infection in Arunachal Pradesh, India, abstract #701"। Journal of the Association of Physicians of India। ২ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ June 2011। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "Dibang Valley District At a Glance"। District Administration Ani। 19 July 2014 তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ June 2011। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)
আরো দেখুন
টেমপ্লেট:Arunachal Pradesh