অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা

অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা (ISO : Andhra Pradēś Śāsana Sabha) হল ভারতীয় রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার নিম্নকক্ষ।[]

বিধানসভা ১৭৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত যারা প্রাপ্তবয়স্ক সার্বজনীন ভোটাধিকার দ্বারা ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট পদ্ধতিতে নির্বাচিত হন। বিধানসভার মেয়াদকাল তার প্রথম বৈঠকের জন্য নির্ধারিত তারিখ থেকে পাঁচ বছর হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাজ্যপাল মেয়াদ পূর্তির পূর্বেই বিধানসভা ভেঙে দিতে পারেন। বিধানসভার প্রধান কাজগুলির মধ্যে রয়েছে আইন প্রণয়ন, প্রশাসনের তত্ত্বাবধান, বাজেট পাস করা এবং জনসাধারণের অভিযোগ সম্প্রচার করা।[]

বিধানসভা বছরে তিনটি অধিবেশন করে, একটি বাজেটের জন্য এবং অন্যটি বর্ষা ও শীতকালীন অধিবেশনের জন্য।[]

বিধানসভা ২০১৭ সালের বাজেট অধিবেশন থেকে শুরু করে অমরাবতীর অন্তর্বর্তী বিধানসভা ভবনে সভাস্থল গ্রহণ করে। নতুন ভবনে স্বয়ংক্রিয় বক্তৃতা অনুবাদ এবং স্বয়ংক্রিয় ভোট রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।[]

ইতিহাস

১ অক্টোবর ১৯৫৩-এ অন্ধ্র রাজ্য গঠনের পর অন্ধ্র বিধানসভা গঠিত হয়।[] ১ নভেম্বর ১৯৫৬-এ অন্ধ্র রাজ্য হায়দ্রাবাদ রাজ্যের তেলুগু-ভাষী অঞ্চলগুলির সাথে একীভূত করার মাধ্যমে অন্ধ্রপ্রদেশ গঠিত হয়। অন্ধ্র রাজ্য বিধানসভার ১৪০ জন সদস্য এবং হায়দ্রাবাদ রাজ্যের তেলুগু-ভাষী অঞ্চলগুলির প্রতিনিধিত্বকারী ১০৫ জন সদস্য অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা গঠনের জন্য একীভূত হন। গঠনকালে আইনসভা ছিল এককক্ষবিশিষ্ট এবং মাত্র ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিধানসভা। ১৯৫৬ সালের ৩ ডিসেম্বর প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শ্রী আয়েদেবরা কালেশ্বর রাও এবং পলাসা সূর্য চন্দ্র রাও ছিলেন যথাক্রমে প্রথম স্পিকার এবং প্রথম ডেপুটি স্পিকার

১ জুলাই ১৯৫৮-এ বিধান পরিষদ গঠনের সাথে সাথে, অন্ধ্রপ্রদেশের আইনসভা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট হয়ে ওঠে। ১ জুন ১৯৮৫ পর্যন্ত এটি দ্বিকক্ষ-বিশিষ্ট থাকে। অষ্টম বিধানসভার সময়কালে ৩১ মে ১৯৮৫-এ বিধান পরিষদ বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং রাজ্যের আইনসভা আবারও এককক্ষে পরিণত হয়।[]

২ জুন ২০১৪-এ, অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যটি বিভক্ত হয়ে নতুন রাজ্য তেলেঙ্গানা গঠন করে। অন্ধ্রপ্রদেশকে ১৭৫টি বিধানসভা আসন বরাদ্দ করা হয় বাকি ১১৯টি তেলেঙ্গানা বিধানসভায় বরাদ্দ করা হয়।[]

১১ এপ্রিল ২০১৯-এ অনুষ্ঠিত ২০১৯ অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে,[] ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি ১৫১টি আসন জিতেছে এবং ক্ষমতাসীন তেলেগু দেশম পার্টি ২৩টি আসন পেয়েছে। একটি আসনে জয় পেয়েছে জনসেনা পার্টি[]

১৩ মে ২০২৪-এ অনুষ্ঠিত অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে, জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট ১৬৪টি আসনের একটি বিস্ময়কর ভূমিধ্বস জয় অর্জন করেছে। এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি মাত্র ১১টি আসনে জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছে।[]

তথ্যসূত্র

  1. "Andhra Assembly withdraws resolution to abolish Legislative Council"The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-১১-২৩। ১৮ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৮ 
  2. "Andhra Pradesh Legislative Assembly"। ২৩ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৯  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "aplegislature" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  3. "Winter session of Andhra Pradesh assembly begins today, to be held for 5 days"The Times of India। ২০২২-০৯-১৫। আইএসএসএন 0971-8257। ১৮ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১৮ 
  4. "Andhra Pradesh gets new Assembly building; CM Chandrababu Naidu terms occasion historic"New Indian Express। ৩ মার্চ ২০১৭। 
  5. The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। The Indian Express। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২২ 
  6. "Centre: No increase in Andhra Pradesh, Telangana assembly seats till 2026"The Times of India। ২০২১-০৮-০৪। আইএসএসএন 0971-8257। ১৮ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১৮ 
  7. "AP Election Result Date | Andhra Pradesh (AP) Assembly Elections 2019 Results Date - Times of India"timesofindia.indiatimes.com। ৯ মে ২০১৯। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১৮ 
  8. "AP Election Results: Election Results of Andhra Pradesh Assembly Election | Times of India"timesofindia.indiatimes.com। ১৩ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১৮ 
  9. Bureau, The Hindu (২০২৪-০৬-০৪)। "AP election results 2024 highlights: Chandrababu Naidu celebrates after TDP registers sweeping victory in Andhra Pradesh Assembly elections"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-০৬