অ্যান্টনি রামালেট্‌স

অ্যান্টনি রামালেট্‌স
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম অ্যান্টনি রামালেট্‌স সাইমন
জন্ম (১৯২৪-০৭-০১)১ জুলাই ১৯২৪
জন্ম স্থান বার্সেলোনা, স্পেন
মৃত্যু ৩০ জুলাই ২০১৩(2013-07-30) (বয়স ৮৯)
মৃত্যুর স্থান মেডিওনা, স্পেন
উচ্চতা ১.৮২ মিটার (৫ ফুট ১১+ ইঞ্চি)
মাঠে অবস্থান গোলরক্ষক
যুব পর্যায়
১৯৪১-৪২ ইউরোপা
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
১৯৪২-৪৪ মালোর্কা
১৯৪৪-৪৫ স্যান ফার্নানান্দো
১৯৪৬-৪৭ → ভ্যালাডোলিড (ঋণ)
১৯৪৬-৬২ বার্সেলোনা ২৮৮ (০)
জাতীয় দল
১৯৪৮-৬০ কাতালোনিয়া (০)
১৯৫০-৬১ স্পেন ৩৫ (০)
পরিচালিত দল
১৯৬২-৬৩ ভ্যালাডোলিড
১৯৬৩-৬৪ জারাগোজা
১৯৬৪-৬৫ মুর্সিয়া
১৯৬৫-৬৬ ভ্যালাডোলিড
১৯৬৬-৬৭ লগরোনস
১৯৬৭-৬৮ হারকিউলিস
১৯৬৮-৬৯ ডেপ্রোর্টিও ইলিসিতানো
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

অ্যান্টনি রামালেট্‌স সাইমন (১লা জুলাই, ১৯২৪ – ৩০শে জুলাই, ২০১৩) একজন স্প্যানিশ ফুটবলার যিনি গোলরক্ষক হিসেবে এবং ম্যানেজার হিসেবেও কাজ করেছেন।

তিনি তার ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে খেলেছেন বিশেষত। ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দিকে। সেই সময় তিনি লা লিগার শ্রেষ্ঠ গোলরক্ষক হিসেবে (প্রায় ৫টি অণুষ্ঠানে, ১৭টি বড় ক্লাব সম্মান) জামোরা ট্রফি জয় করেন।[১]

রামালেট্‌স স্পেনকে ১৯৫০ ফিফা বিশ্বকাপে চিত্রিত করেন এবং ১৯৬০ সাল তার দেশের বিভিন্ন ক্লাবের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন এবং জারাগোজাসহ দুইটি বড় কাপ লাভ করেন।

ক্লাবের কর্মজীবন

বার্সেলোনা, কাতালোনিয়ায় জন্মগ্রহণকারী রামালেট্‌স রিয়াল ভ্যালাডোলিড থেকে সরে এসে বার্সেলোনার সাথে ১৯৪৭ সালে চুক্তি করেন মাত্র ২৩ বছর বয়সে। তবে চুক্তির পরও প্রথম সীজনে সে ভ্যালাডোলিডের হয়েই খেলেন। সে দ্বিতীয় রাউন্ড খেলতে আবারও জুয়ান ভেলাসকো ক্লাবে ফিরে আসেন এবং সেভিলা ফুটবল ক্লাবকে ২-১ এ হারিয়ে ২৮শে নভেম্বর, ১৯৪৮ সালে লা লিগায় নিজের উদ্বোধন করেন। যদিও ১৯৪৮-৪৯ সালের সময়ে এটাই তার একমাত্র আবির্ভাব ছিল, ধীরে ধীরে সে তার দলের (তৎকালীন ক্লাব দ্য ফুতবল বার্সেলোনা) একজন গুরুত্বপূর্ণ রক্ষক হয়ে ওঠেন এবং ৬টি লীগ ও ৫টি আঞ্চলিক খেলায় অংশ নেন। ১৯৫১-৫২ সালের লা-লিগায় বার্সা ৫টি বড় ট্রফি লাভ করে এবং তিনি ২৮টি লীগ খেলায় অবদান রাখেন; তার জীবনের প্রথম রিকার্ডো জামোরা ট্রফি লাভ করেন।

১৯৫০ সালের দিকে রামালেট্‌স বার্সেলোনা দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন। তখন ঐ দলে আরো ছিলেন জোয়ান সেগেরা, মারিয়া গঞ্জালভা, লাসজোলো কুবালা, সান্ডোর কোসসিস, এভারিস্টো, লুইস সুভারেজ এবং জোল্টান জিবর। ক্লাবের হয়ে তিনি ৫৩৮বার মাঠে নামেন, এর মধ্যে ২৮৮বার আঞ্চলিক খেলায়; ৬ই মার্চ ১৯৬২ সালে ব্লাউগ্রানা তার সম্মানে হ্যামবার্গার এসভির সাথে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলে এবং ৫-১ এ জেতে।

১৯৬০ সালে রামালেট্‌স ভ্যালাডোলিড সহ বেশকিছু দলের কোচ হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬৩-৬৪ সালে লা লিগায় তিনি রিয়াল জারাগোজাকে নেতৃত্ব দেন এবং লীগে চতুর্থ স্থান, ১৯৬৩-৬৪ সালের ইন্টার সিলিস ফেয়ারস কাপে (যে প্রতিযোগিতায় তিনি বার্সেলোনার হয়ে দুইবার পুরস্কার পান) ফেবারিট ভালেনসিয়া ফুটবল ক্লাবকে পরাজিত করে দিয়ে উক্ত কাপটিও এনে দেন।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার

রামালেট্‌স স্পেনের হয়ে ১১ বছর ধরে ৩৫টি খেলায় অংশ নেয়। সে চিলির বিপক্ষে ২৯শে জুন, ১৯৫০ সালে বিশ্বকাপে প্রথম খেলে।[২] এই টুর্নামেন্ট চলাকালীন সে মারাকানার বিড়াল (The Cat of Maracaná) নামে সম্বোধিত হয়, কারণ তার কারণেই সেবার তার দল দ্বিতীয় পর্যায়ে উত্তীর্ণ হয়।

রামালেট্‌স কাতালান জাতীয় দলের হয়েও সাতটি খেলায় অংশ নেন।

সম্মান

খেলোয়াড়

ক্লাব

বার্সেলোনা
  • লা লিগা: ১৯৪৭-৪৮, ১৯৪৮-৪৯, ১৯৫১-৫২, ১৯৫২-৫৩, ১৯৫৮-৫৯, ১৯৫৯-৬০
  • কোপা দেল রে: ১৯৫০–৫১, ১৯৫১–৫২, ১৯৫২–৫৩, ১৯৫৬–৫৭, ১৯৫৮–৫৯
  • কোপা এভা ডুয়ার্টে: ১৯৪৮, ১৯৫২, ১৯৫৩
  • ইন্টার-সিটিস ফেয়ারস কাপ: ১৯৫৫-৫৮, ১৯৫৮-৬০
  • লাতিন কাপ: ১৯৫২

একা

  • জামোরা ট্রফি: ১৯৫১–৫২, ১৯৫৫–৫৬, ১৯৫৬–৫৭, ১৯৫৮–৫৯, ১৯৫৯–৬০

ম্যানেজার

জারাগোজা

মৃত্যু

৩১শে জুলাই, ২০১৩ সালে বার্সেলোনার নিকট মেডিওনায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ৮৯ বছর বয়সী ছিলেন।[৩][৪][৫]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ