ইয়াজদের জামে মসজিদ
ইয়াজদের জামে মসজিদ | |
---|---|
مسجد جامع یزد | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | শিয়া ইসলাম |
অবস্থান | |
অবস্থান | ইয়াজ্দ্ প্রদেশ, ইরান |
স্থানাঙ্ক | ৩১°৫৪′৫″ উত্তর ৫৪°২২′৭″ পূর্ব / ৩১.৯০১৩৯° উত্তর ৫৪.৩৬৮৬১° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | ইরানীয় স্থাপত্য, পারস্য |
সম্পূর্ণ হয় | ১৪ শতক |
বিনির্দেশ | |
গম্বুজসমূহ | ২ |
মিনার | ২ |
মিনারের উচ্চতা | ৫২ মিটার |
ইয়াজদের জামে মসজিদ (ফার্সি: مسجد جامع یزد,মসজিদ-ই-জামেহ ইয়াজদ) ইরানের ইয়াজ্দ্ প্রদেশের মধ্যে অবস্থিত। এটি ইয়াজদ শহরের বিশাল জামাতীয় মসজিদ (জামে মসজিদ)। ইরানি ২০০ রিয়াল নোটের গায়ে মসজিদটিকে চিত্রিত করা আছে। [১]
ইতিহাস
ইয়াজদের জামে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় ৮০০ বছর আগে। ১৪ শতকের এই মসজিদটি আজও ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি সর্বপ্রথম আল-ই বুয়েহ রাজবংশের আলাউদ্দোলেহ গারশাসবের অধীনে নির্মিত হয়। মসজিদটি মূলত ১৩২৪ এবং ১৩৬৫ সালের মধ্যে বেশ কয়েকবার পুনর্নির্মাণ করা হয়। এটি ইরানের ১৪ শতকের অসাধারণ ভবনগুলোর মধ্যে একটি।
মসজিদের মূল ভবনটি সাসানিদের যুগের। ঐতিহাসিকদের মতে, মসজিদটি সাসানিদের অগ্নি মন্দিরের জায়গায় নির্মাণ করা হয়। মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু করেন আলাউদ্দোলেহ গারশাসব। পূর্ববর্তী মসজিদটি ৬ষ্ঠ খ্রিস্টাব্দে আলাউদ্দোলেহ কালাঞ্জরের আদেশে নির্মাণ করা হয়, তবে বর্তমান ভবনটির মূল নির্মাণটি "সৈয়্যদ রোকন আল-দীন মোহাম্মদ কাজীর" আদেশে নির্মাণ করা হয়। [২]
বিবরন
মসজিদটি পারস্য স্থাপত্যের একটি চমৎকার নমুনা। এটি পারস্য স্থাপত্যের আজারি শৈলী বা মঙ্গল শৈলীর একটি দুর্দান্ত উদাহরণ। মসজিদের প্রবেশদ্বারটি একজোড়া মিনার দ্বারা মুকুটযুক্ত। এই মিনারগুলো সাফাভিদ যুগের এবং ইরানের সর্বোচ্চ মিনারগুলোর মধ্যে একটি। মিনারগুলো ১৩৬৫ সালের নির্মিত এবং এগুলো মসজিদের অন্যতম সেরা স্থাপত্য। যেগুলোর উচ্চতা ৫২ মিটার এবং ব্যাস ৬ মিটার। প্রবেশদ্বারের সম্মুখভাগের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত নীল রঙে চকচকে টালির কাজে সজ্জিত। এই দুটি মিনার দেখতে একই হলেও, সিঁড়ির দিক দিয়ে ভিন্ন। ডান মিনারের দুটি সিঁড়ি আছে, কিন্তু বামদিকের মিনারটির একটি মাত্র সিঁড়ি বিদ্যমান। মসজিদের দক্ষিণ-পূর্ব দিকের বারান্দার পিছনে একটি ডোম চেম্বার রয়েছে, যা ফ্যায়েন্স মোজাইক দিয়ে সজ্জিত। মোজাইকগুলোর নিদর্শনগুলো ইসলামের নবীর নাম এবং পবিত্র কুরআনের বাক্য দ্বারা পূর্ণ। এই ডোম (গম্বুজ) এর উচ্চতা টালিযুক্ত মিহরাব পর্যন্ত বিস্তৃত। মিহরাবে দুটি তারা আকৃতির গ্রাফিতো টাইলসের উপর কারিগরের নাম এবং মিহরাব নির্মাণের তারিখ রয়েছে। মসজিদের প্রার্থনা হলের দুটি বিভাগ রয়েছে, একটি শীতকালে এবং অন্যটি বসন্তে ব্যবহৃত হয়। ইয়াজদের জামে মসজিদের একটি আশ্চর্যজনক বৈশিষ্ট্য হলো, এতে গম্বুজ এবং দেয়ালের সাদা প্লাস্টার থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে বিস্তৃতভাবে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। [৩] প্রাসাদের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, মসজিদের বর্গাকার আকৃতি, যার কারণে একে কাবার মত দেখায়। কাবা ইসলামী বিশ্বের একটি পবিত্র নির্মাণ এবং ইসলামি স্থাপত্যে একটি বিশিষ্ট প্রতীক।[৪][৫]
চিত্রশালা
-
ইয়াজদের জামে মসজিদের সবচেয়ে উঁচু মিনারের দৃশ্য
-
মসজিদের গ্র্যান্ড ইওয়ান
-
টালি এবং ইট সমৃদ্ধ মসজিদের অভ্যন্তর
-
মসজিদের মিহরাব
-
ছাদের শিল্পকর্ম
-
মসজিদের প্রবেশপথ
-
ছাদের কারুকাজ
-
বিস্তারিত নকশা
-
মসজিদের চত্বর
-
পুরো মসজিদ কমপ্লেক্সের দৃশ্য
-
ইয়াজদের জামে মসজিদের চিত্রসহ ২০০ ইরানি রিয়াল ব্যাঙ্কনোট (১৯৮২-২০০৫)
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ "200 Rials"। Central Bank of the Islamic Republic of Iran। ৬ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০০৯।
- ↑ Dehghan, Mohammad Hossein (২০১১)। Yazd, A paradise in Kavir। Yazda Publication।
- ↑ "Travel To Iran| Jame Mosque of Yazd and its wonders"। iranstravel.com। ২০২১-০৬-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৪।
- ↑ "Jameh Mosque of Yazd"। Amazing IRAN (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১২-২৬। ২০২২-০৪-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৪।
- ↑ "Jameh Mosque of Yazd | Example of Islamic Architecture | Apochi.com"। Apochi (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৪।