উয়েফা বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড় পুরস্কার (পূর্বে উয়েফা ইউরোপে বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড় পুরস্কার নামে পরিচিত) হলো একটি নারী ফুটবল পুরস্কার, যেটি পূর্ববর্তী মৌসুমে ইউরোপের একটি ফুটবল ক্লাবের হয়ে খেলা সেরা নারী খেলোয়াড়কে প্রদান করা হয়। এই পুরস্কারটি উয়েফা ম্যান'স প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কার প্রচলনের দুই বছর পর, সর্বপ্রথম ২০১৩ সালে প্রদান করা হয়।[১]
উদ্বোধনী বছরে দুই জার্মান ফুটবলার নাদিন আঙ্গেরার ও লেনা গোবলিং এবং সুইডিশ ফুটবলার লোট্টা স্কেলিন শীর্ষ ৩ জনের জন্য নির্বাচিত হন। উক্ত বছরের ৫ই সেপ্টেম্বর, জার্মান ফুটবলার নাদিন আঙ্গেরার প্রথম নারী খেলোয়াড় হিসেবে উয়েফা বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড় পুরস্কার জয়লাভ করতে সক্ষম হন।[১][২]
মানদণ্ড এবং ভোটদান
উয়েফা অনুযায়ী, মনোনীত খেলোয়াড়দের "সকল প্রতিযোগিতা, উভয় ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক এবং ক্লাব ও জাতীয় দলের" হয়ে তাদের খেলার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয়।[১] উদ্বোধনী পুরস্কারের জন্য, ২০১৩ উয়েফা নারী ইউরোর গ্রুপ পরবে খেলা ১২ জাতীয় দলের কোচ এবং ২০১২–১৩ উয়েফা নারী চ্যাম্পিয়নস লীগের কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলা ৮ ক্লাবের কোচদের ভোটে খেলোয়াড়দের মনোনীত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ইউরোপীয় স্পোর্টস মিডিয়া দ্বারা নির্ধারিত নারী ফুটবলের ১৮ ক্রীড়া সাংবাদিকদের দ্বারা মনোনীত খেলোয়াড়দের থেকে নির্বাচন করা হয়। প্রত্যেক নির্বাচক শীর্ষ ৩ খেলোয়াড়ের তালিকা নির্ধারণ করেন, যেখানে তারা তাদের প্রথম পছন্দকে ৫ পয়েন্ট, দ্বিতীয় পছন্দকে ৩ পয়েন্ট এবং তৃতীয় পছন্দকে ১ পয়েন্ট প্রদান করেন। এই প্রাথমিক পর্যায়ের ভোট থেকে শীর্ষ ৩ খেলোয়াড়দের মনোনীত করা হয় এবং বাকি চতুর্থ থেকে দশম স্থান পর্যন্ত খেলোয়াড়দের নির্ধারণ করা হয়। এই পুরস্কারের বিজয়ী, দ্বিতীয় স্থান বা রানার-আপ এবং তৃতীয় স্থান উক্ত শীর্ষ ৩ মনোনীত খেলোয়াড়দের মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়, যেটি উয়েফা নারী চ্যাম্পিয়নস লীগের ৩২ দলের পর্ব এবং ১৬ দলের পর্বের ড্রয়ের সময় সংগঠিত হয়।[৩]