কালো আইন

এই কালো আইন (৯ জিও. ১ c. ২২) ছিল চোরাশিকারীদের দুইটি দলের লাগাতার হানা দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ১৭২৩ সালে  গ্রেট ব্রিটেনের সংসদে  পাস হওয়া একটি আইন। দক্ষিণ সাগর বাবলের পতন এবং পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দার পরিণতিতে উদ্ভূত, কালোরা চোরাশিকার অভিযানের আগে মুখ কালো করে নেওয়ার অভ্যাসে এই নামে বিখ্যাত হয়। "কর্মের একটি পূর্বনির্ধারিত কার্য্যকলাপের অনূক্রম, এবং একটি সচেতন সামাজিক অসন্তোষ " তারা দ্রুত দুইই প্রদর্শন করেন[] এবং তাদের কার্যক্রমগুলি ১৭২৩ সালের ২৬ শে এপ্রিল সংসদে কালো আইন প্রবর্তনের দিকে নিয়ে যায়; যেটি ২৭ মে  কার্যকর হয়। আইনটি বনভূমিতে ছদ্মবেশে পাওয়া যাওয়া সমেত, ৫০ টি ফৌজদারী অপরাধের জন্য মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে, এবং "অষ্টাদশ শতাব্দীতে [কালো আইন] সদৃশ নির্দয়তার সাথে দ্বিতীয় কোন আইন পাস হয় নি, এবং এইপ্রকার অপরাধে, অনেক ক্ষেত্রে কেউই  মৃত্যুদণ্ডের দণ্ডে দণ্ডিত করেনি "।[] ১৯ শতকের প্রথম দিকে ফৌজদারি আইন সংস্কারের প্রচারাভিযানের পর ১৮২৩ সালের ৮ জুলাই রবার্ট পিল দ্বারা সংশোধিত বিল প্রবর্তিত হযবার পর এটি বেশিরভাগভাবে বাতিল হয়ে যায়।

লন্ডন বিল্ডিং এ্যাক্ট ১৭৭৪, কোন ভবনের বহির্ভাগের অলঙ্করণের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, এটি ব্ল্যাক অ্যাক্ট হিসাবেও পরিচিত ছিল।[][]

পটভূমি

১৭২০ সালে দক্ষিণ সাগর বাবলের পতনের  পরবর্তী সময়ে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক মন্দার ফলে সামাজিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এর একটি ছোট প্রভাব হ'ল হ্যাম্পশায়ার এবং উইন্ডসর বন ভিত্তিক দুই চোরাশিকারী গোষ্ঠীর কার্যকলাপ।[] হ্যাম্পশায়ার গোষ্ঠী থেকে প্রথম দমকে আক্রমণ শুরু হয় এবং ১৭২১ সালের অক্টোবর মাসে ১৬ জন চোরা শিকারী ফার্নহ্যাম একত্রিত হয়ে উইনচেস্টারের বিশপের পার্কটি আক্রমণ করে।. তিনটি হরিণ গুম করা হয়, এবং দুইটিকে মারা হয়; পরে চার শিকারীকে ধরা হয়, প্রমাণের অভাবে দুজনকে ছেড়ে দিতে হয় এবং অপরদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে জনসম্মুখে শাস্তি দেওয়া হয় এবং এক বছর একদিনের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়। চোরাশিকারিরা "কালো" হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে, তাদের মুখ সনাক্তকরণ প্রতিরোধ করতে তাদের মুখ কালো রং করার অভ্যাসের কারণে; "ওয়ালথাম ব্ল্যাকস" নামে হ্যাম্পশায়ার গ্রুপ ছিল সবচেয়ে বিখ্যাত"। দণ্ডাদেশের প্রতিক্রিয়াতে, শিকারীরা "কর্মের একটি পূর্বনির্ধারিত কার্য্যকলাপের অনূক্রম, এবং একটি সচেতন সামাজিক অসন্তোষ" প্রদর্শন করে আবারও বিশপের সম্পত্তি আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়, যা তাদেরকে সাধারণ শিকারীদের থেকে পৃথক করে।প্রতিশোধমূলক আক্রমণে ১১ টি হরিণ গুম করা হয় এবং আরো অনেকগুলি হত্যা করা হয়, যার ফলে রাজকীয় ফরমানে তথ্য সংগ্রহের জন্য ১০০ পাউন্ড প্রদানের প্রস্তাব দেওয়া হয় যা দলটিকে গ্রেফতারের দিকে নিয়ে যায়।[] এটি একটি "সুস্পষ্টভাবে সরাসরি শ্রেণী ঘৃণা" বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লাগাতার হামলার দ্বারা অনুসৃত হয়, যেটির সর্বোচ্চ ছিল প্রিন্স অফ ওয়েলসের জন্য নির্দিষ্ট মদ্য পানীয়ের জাহাজ আক্রমণ। এটি চূড়ান্ত তুচ্ছ বস্তু বলে প্রমাণিত হয়, যখন "কুখ্যাত ঝুলন্ত বিচারক" আখ্যাপ্রাপ্ত, স্যার ফ্রান্সিস পেজকে, উইংচেস্টারে যে কোনও বিচারের রায় প্রদানে মুখ্য হিসাবে পাঠানো হয় যাতে হ্যাম্পশায়ার কালোদের আত্মগোপন করতে হয়।[]

আইন

সশস্ত্র এবং কালো মুখ, সশস্ত্র এবং অন্যথায় ছদ্মবেশে, শুধুমাত্র কালো, নিছক ছদ্মবেশ, ঘটনার পরের জিনিসপত্র বা "অন্য কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমূহ" যে কোন অপরাধী আইনটির আওতায় ছিল।[]

তথ্যসূত্র

  1. Rogers 1974
  2. Radzinowicz 1945
  3. Santo, Philip (২০১৩)। Inspections and Reports on Dwellings: Assessing Age। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 83। 
  4. Street, Emma (২০১১)। Architectural Design and Regulation। John Wiley & Sons। 

সংস্করণ

আরও পড়ুন

  • Cruickshanks, Eveline; Erskine-Hill, Howard (১৯৮৫)। "The Waltham Black Act and Jacobitism"Journal of British Studies। University of Chicago Press। 24: 358–365। আইএসএসএন 0021-9371ডিওআই:10.1086/385839 
  • Thompson, E. P. (১৯৭৫)। Whigs and hunters: The origin of the Black Act (1977 with a new postscript, Harmondsworth: Penguin সংস্করণ)। London: Breviary Stuff Publications (প্রকাশিত হয় ২০১৩)। আইএসবিএন 978-0-9570005-2-0 
  • Thompson, E. P., সম্পাদক (১৯৭৫)। Albion's fatal tree: Crime and society in eighteenth century England। London: Allen Lane।