কুব্বতে খাজনা
কুব্বতে খাজনা ( আরবি: قبة الخزنة কুব্বতুল খজনা), যা বয়তুল মাল নামেও মশহূর,[১][২] সিরিয়ার দামেস্কে উমাইয়া মসজিদের আঙিনায় অবস্থিত একটি পুরান কাঠামো। এটি একটি অষ্টভুজাকার কাঠামো যা মোজাইক দ্বারা সজ্জিত, আটটি রোমান কলামের উপর দাঁড়িয়ে আছে। [৩] গম্বুজটি 789 সালে দামেস্কের আব্বাসী গভর্নর ফজল ইবনে সালেহ সাহেবের হুকুমে নির্মিত হয়েছিল। [৪][৫]
কাঠামোর বাহ্যিক দেয়ালগুলি মূলত রঙিন মোজাইক সজ্জায় আচ্ছাদিত ছিল যা মসজিদের বাকি অংশে পূর্বের উমাইয়া জমানার মোজাইকগুলির অনুকরণ করেছিল, যদিও সেগুলি পরবর্তীগুলির তুলনায় কিছুটা কম মানের। [১][৬] মোজাইকগুলি 13 তম বা 14 তম শতাব্দীতে পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল এবং তারপর 20 শতকের শেষের দিকে তারা প্রায় সম্পূর্ণরূপে বিদ্যমান টুকরোগুলির উপর ভিত্তি করে পুনরায় তৈরি করা হয়েছিল। [১][২] কাঠামোর স্তম্ভগুলির জন্য পুনঃব্যবহৃত রোমান কলামগুলি কাঙ্ক্ষিত উচ্চতা অর্জনের জন্য কেটে ফেলা হয়েছিল কিন্তু মূল রোমান জমানার রাজধানীগুলিকে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। [১]
গম্বুজটি মসজিদের বৃহৎ সম্পদ ধারণ করত। [৭] কিছু ইঊনানী, লাতিন, সিরীয়, কিবতী, ইবরানী, আরামী এবং জর্জী পুরান পাণ্ডুলিপিগুলিও অতীতে কুব্বতে খাজনায় রাখা হয়েছিল (যেমন আনশিয়াল 0126, 0144, 0145 )। পান্ডুলিপিগুলিকে সাধারণত দৃষ্টির বাইরে রাখা হত, কিন্তু আলমানী বাদশাহ দোসরা উইলহেলম যখন 1898 সালে দামেস্কে গিয়েছিলেন তখন আলমানী পণ্ডিতদের দ্বারা সংক্ষিপ্তভাবে পরিচালনা করার এজাজৎ দেওয়া হয়েছিল। [৭]
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ গ ঘ Burns, Ross (২০০৭)। Damascus: A History। Routledge। পৃষ্ঠা 132, 286 (note 9)। আইএসবিএন 9781134488506।
- ↑ ক খ Islam: Art and Architecture। h.f.ullmann। ২০১১। পৃষ্ঠা 69। আইএসবিএন 9783848003808।
- ↑ Syria. Damascus. Omayyad Mosque. The Dome of the Treasury ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত জুলাই ১৭, ২০১১ তারিখে
- ↑ Cobb, Paul M. (২০০১)। White banners: contention in ʻAbbāsid Syria, 750-880। SUNY Press। পৃষ্ঠা 151। আইএসবিএন 0-7914-4880-0।
- ↑ Burns, Ross (২০০৭)। Damascus: A History। Routledge। পৃষ্ঠা 132। আইএসবিএন 9781134488506।
- ↑ Walker, Bethany J. (মার্চ ২০০৪)। "Commemorating the Sacred Spaces of the Past: The Mamluks and the Umayyad Mosque at Damascus"। The American Schools of Oriental Research: 26–39। জেস্টোর 4149989। ডিওআই:10.2307/4149989।
- ↑ ক খ Margoliouth, David S. (২০১০)। Cairo, Jerusalem & Damascus: Three Chief Cities of the Egyptian Sultans। Cosimo, Inc.। পৃষ্ঠা 400। আইএসবিএন 978-1-61640-065-1।
গ্রন্থপঞ্জি
- আরিয়ানা ডি'অটোন, একটি বহুভাষিক এবং বহু-সাংস্কৃতিক সমাজের আয়না হিসাবে পাণ্ডুলিপি। দামেস্কের কেসটি বাইজেন্টিয়ামে কনভিভেনসিয়া পাওয়া যায় ? বহু-জাতিগত এবং বহু-ভাষিক সমাজে সাংস্কৃতিক বিনিময়, বি. ক্রোস্টিনি-এস দ্বারা সম্পাদিত। La Porta, Trier, Wissenschaftlicher Verlag Trier, 2013, pp. 63–88।
বহিঃসংযোগ
