দিল্লি জংশন রেলওয়ে স্টেশন
দিল্লি জংশন | |
---|---|
এক্সপ্রেস ট্রেন ও যাত্রীবাহী ট্রেন স্টেশন | |
অবস্থান | চাঁদনী চৌক মেট্রো স্টেশনের কাছে, মরি গেট, নতুন দিল্লি, দিল্লি ভারত |
স্থানাঙ্ক | ২৮°৩৯′৪০″ উত্তর ৭৭°১৩′৪০″ পূর্ব / ২৮.৬৬১০° উত্তর ৭৭.২২৭৭° পূর্ব |
উচ্চতা | ২১৮.৭৬০ মিটার (৭১৭.৭২ ফুট) |
মালিকানাধীন | ভারতীয় রেল |
পরিচালিত | উত্তর রেল |
প্ল্যাটফর্ম | ১৬ |
রেলপথ | ১৮ |
সংযোগসমূহ | অটোর স্ট্যান্ড, ট্যাক্সি স্ট্যান্ড |
নির্মাণ | |
পার্কিং | হ্যাঁ |
প্রতিবন্ধী প্রবেশাধিকার | হ্যাঁ |
অন্য তথ্য | |
অবস্থা | পরিচালনাগত |
স্টেশন কোড | ডিএলআই |
অঞ্চল | উত্তর রেল |
বিভাগ | দিল্লি |
ইতিহাস | |
চালু | ১৮৬৪ |
পুনর্নির্মিত | ১৯০৩ |
বৈদ্যুতীকরণ | ১৯৬৭ |
অবস্থান | |
ওল্ড দিল্লি রেল স্টেশন (স্টেশন কোড: ডিএলআই) নামেও পরিচিত দিল্লি জংশন দিল্লি শহরের প্রাচীনতম রেল স্টেশন। এটি একটি জংশন স্টেশন। এটি চলাচলকারী ট্রেনের সংখ্যার বিবেচনায় ভারতের অন্যতম ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশন। প্রতিদিন প্রায় ২৫০ টি ট্রেন এই স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু বা শেষ করে, অথবা এই স্টেশন হয়ে চলাচল করে। এটি ১৮৬৪ সালে চাঁদনী চৌকের কাছে প্রতিষ্ঠিত হয়, যখন কলকাতার হাওড়া থেকে ট্রেনসমূহ দিল্লি পর্যন্ত যাত্রা শুরু করে। এটির বর্তমান ভবনটি ব্রিটিশ ভারত সরকার নিকটবর্তী লাল কেল্লার নির্মাণ শৈলীতে তৈরি করে এবং এটি ১৯০৩ সালে চালু করা হয়। এটি দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন এবং এটি নতুন দিল্লির প্রায় ৬০ বছর আগে নির্মিত হয়। এটির নিকটে দিল্লি মেট্রোর চাঁদনী চৌক স্টেশনটি অবস্থিত।
ইতিহাস
স্টেশনটি ১৮৬৪ সালে কলকাতা থেকে আগত একটি একটি ব্রডগেজ ট্রেনের মাধ্যমে শুরু হয়। রাজপুতানা স্টেট রেলওয়ের দ্বারা দিল্লি থেকে রেওয়ারী পর্যন্ত এবং আরও পরে আজমির পর্যন্ত মিটার-গেজ ট্র্যাকটি ১৮৭৩ সালে স্থাপন করা হয় এবং এই স্টেশন থেকে মিটার-গেজ ট্রেনসমূহের চলাচল ১৮৭৬ সালে শুরু হয়।
স্টেশনটির বর্তমান ভবন ১৯০০ সালে নির্মিত হয় এবং ১৯০৩ সালে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। মাত্র ২ টি প্ল্যাটফর্ম ও ১০০০ জন যাত্রী সহ যাত্রা শুরু করা, দিল্লি রেল স্টেশন বর্তমানে প্রতিদিন ১,৮০,০০০ জনেরও বেশি যাত্রী পরিচালনা করে এবং প্রায় ১৯০ টি ট্রেন প্রতিদিন স্টেশনটির মাধ্যমে যাত্রা শুরু, যাত্রা শেষ, বা যাতায়াত করে।
১৯০৪ সালে আগ্রা-দিল্লি রেলপথ চালু হয়। সেই সময়ে দিল্লি ছয়টি রেলওয়ে ব্যবস্থার অংশ ছিল। ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে, নর্থ-ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে, এবং অওধ ও রোহিলখণ্ড রেলপথ গাজিয়াবাদ থেকে যমুনা নদী পেরিয়ে দিল্লিতে প্রবেশ করে। দিল্লি–পানিপথ–আম্বালা সেনানিবাস–কালকা রেলপথ দিল্লি থেকে উত্তর দিকে অগ্রসর হয় এবং রাজপুতানা–মালব রেলওয়ে গুড়গাঁও ও রেওয়ারী জংশনের দিক থেকে অল্প দূরত্বে দিল্লি জেলা অতিক্রম করে।[১]
তথ্যসূত্র
- ↑ "Delhi District: Trade and communications"। The Imperial Gazetteer of India, Vol. 11। Oxford at Clarendon Press। ১৯০৯। পৃষ্ঠা 229।