পরাণ যায় জ্বলিয়া রে
পরাণ যায় জ্বলিয়া রে | |
---|---|
পরিচালক | রবি কিনাগী |
প্রযোজক | শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস |
শ্রেষ্ঠাংশে | দেব শুভশ্রী গাঙ্গুলী |
সুরকার | জিৎ গাঙ্গুলী |
মুক্তি |
|
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
নির্মাণব্যয় | ২ কোটি |
আয় | ৯.৫০ কোটি (ব্লকব্লাস্টার) |
পরাণ যায় জ্বলিয়া রে ২০০৯ সালের একটি বাংলা চলচ্চিত্র। রবি কিনাগী পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দেব ও শুভশ্রী গাঙ্গুলী।[১] ২০০৭ সালের নমস্তে লন্ডন চলচ্চিত্রের পুনঃনির্মাণ এই চলচ্চিত্র। নমস্তে লন্ডন নির্মাতা বিপুল শাহ্ প্রযোজকের বিরুদ্ধে মামলা করে ৭৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পান। কারণ এই চলচ্চিত্র নির্মাণের আগে তার কাছ থেকে অনুমতি নেয়া হয়নি।
কাহিনী
এটি একটি রোমান্টিক/ড্রামা চলচ্চিত্র। আন্না (শুভশ্রী গাঙ্গুলী) লন্ডনে থাকে। তার বাবা (বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী) তাকে এক ভারতীয় ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চায়। তাই তাকে ভারতে নিয়ে আসেন। এখানে তার বাল্যবন্ধুর বাসায় ওঠেন। সেখানে রাজএর মামাতো ভাই (অরিত্র দত্ত বণিক)-এর সাথে অনেক মজার ঘটনা ঘটে। তারই ছেলে রাজ (দেব) ও আন্নার সাথে বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু আন্না বিয়ে করতে চায় হ্যারিকে। তার ভাই সিড তাকে কুবুদ্ধি দিয়ে লন্ডনে নিয়ে আসে। আন্না রাজকে তার জীবন দেখানোর নাম করে তাকে লন্ডনে নিয়ে আসে। এখানে এসে তার সাথে বিয়ে করতে অস্বীকার করে।
অবশেষে রাজের চেষ্টায় আন্না নিজের ভুল বুঝতে পারে এবং হ্যারিকে বিয়ে করতে গিয়েও রাজ-এর কাছে ফিরে আসে। রাজ সিডকেও তার পরিবারের সাথে মিলিয়ে দেয়।
অভিনয়ে
- রাজ চরিত্রে দেব
- আন্না চরিত্রে শুভশ্রী গাঙ্গুলী
- বিবেক চরিত্র রাহুল চট্টোপাধ্যায়
- সিড চরিত্রে টোটা রায় চৌধুরী
- আন্নার বাবা চরিত্রে বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী
- আন্নার মা চরিত্রে লাবণী সরকার
- রাজের মামাতো ভাই চরিত্রে অরিত্র দত্ত বণিক
সমস্যা
চলচ্চিত্রটি মুক্তির পরপরই প্রথমে নিম্ন আদালত ও পরে কলকাতা হাই কোর্ট থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়। কারণ চলচ্চিত্রটি ২০০৭ সালের নমস্তে লন্ডন-এর পুনঃনির্মাণ এবং নমস্তে লন্ডন-এর প্রযোজকের কাছ থেকে কোন অনুমতি নেয়া হয়নি। প্রযোজক বিপুল শাহ্ মামলা করেন এবং ৭৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পান। শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস এই ক্ষতিপূরণ দেয়।[২]
সমালোচনা
চলচ্চিত্রটি নিয়ে অনেক সমালোচনা হলেও এটি অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এই চলচ্চিত্রের মুক্তির আগ পর্যন্ত কোন চলচ্চিত্র মুক্তির প্রথম দিনেই এৎ আয় করতে সক্ষম হয়নি। আদালতের সমস্যার কারণে এটি প্রচার পায় এবং একে আরো হিটের দিকে নিয়ে যায়।
জিৎ গাঙ্গুলী এই চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালক ছিলেন। এই চলচ্চিত্রের প্রায় প্রতিটি গানই জনপ্রিয় হয়। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয় তার নিজের গাওয়া গানটি।