পাইলট তিমি
পাইলট তিমি | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী জগৎ |
পর্ব: | কর্ড্যাটা |
শ্রেণী: | স্তন্যপায়ী |
বর্গ: | Cetacea |
পরিবার: | Delphinidae |
গণ: | Globicephala |
প্রজাতি | |
Globicephala macrorhynchus | |
Green: Long-finned range; Blue: Short-finned. |
পাইলট তিমি আদৌ তিমি নয় ; বরং এরা সামুদ্রিক ডলফিন পরিবারের সদস্য।[১] স্পেনীয় ভাষায় এদের বলা হয় "ক্যালডেরন", যার অর্থ "বড় কড়াই"। পাইলট তিমিকে সিটাসিয়ান বর্গের জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণী হিসাবে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। এরা এবং ডলফিন পরিবারের অন্যান্য সদস্য কালো মাছ বা ব্ল্যাক ফিশ নামেও পরিচিত। দুই প্রজাতির পাইলট তিমি রয়েছে। এক প্রজাতি দীর্ঘ পাখনাবিশিষ্ট ও দ্বিতীয়টি হ্রস্ব পাখনাবিশিষ্ট। এ দুই প্রজাতির পাইলট তিমির মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। সমুদ্রে বিচরণকালে এদের আলাদা করা কঠিন। ডাঙ্গায় এদের ফ্লিপারের দৈর্ঘ্য, দাঁতের সংখ্যা ও মাথার গঠনের ওপর ভিত্তি করে পার্থক্য করা হয়। পরিণত পুরুষ পাইলট তিমির দৈর্ঘ্য ২০ ফুট এবং ওজন তিন টন পর্যন্ত হয়ে থাকে। স্ত্রী পাইলট তিমির দৈর্ঘ্য ১৬ ফুট এবং ওজন এক দশমিক পাঁচ টন হয়। এদের শাবকের ওজন প্রায় ১০০ কেজি পর্যন্ত হয়। বসবাস ও বিচরণের জন্য গভীর পানিই এদের বেশি পছন্দ। পাইলট তিমির উভয় প্রজাতিই দল বেঁধে বসবাস করে। প্রতিটি দলে ১০ থেকে ৩০টি তিমি থাকে। কোনো কোনো দলে ১০০’র বেশি তিমি থাকে। এদের প্রধান খাদ্য স্কুইড। স্কুইড না-পাওয়া গেলে এরা হেরিং মাছ, অক্টুপাস ইত্যাদি খেয়ে থাকে। পুরুষ পাইলট তিমি ৪৫ বছর এবং স্ত্রী পাইলট তিমি প্রায় ৬০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।দীর্ঘ পাখনাবিশিষ্ট পাইলট তিমি বসবাসের জন্য শীতল পানি পছন্দ করে। এ তিমি গোষ্ঠী দু’টি দলে বিভক্ত। এদের বড় দলটি দক্ষিণ মহাসাগরে দৃষ্ট হয়। এ দলে আনুমানিক ২ লক্ষ তিমি রয়েছে। এদের দ্বিতীয় দলটি বেশ ছোট। এদের বাসস্খান হচ্ছে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর। ভূমধ্যসাগরের পশ্চিম অংশেও এদের আবাস ও বিচরণ দেখা যায়। হ্রস্ব পাখনাবিশিষ্ট পাইলট তিমি গোষ্ঠীর বসবাস ভারত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে। পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে এদের সংখ্যা প্রায় দেড় লক্ষ। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে, জাপানের উপকূলে প্রায় ৩০ হাজার হ্রস্ব পাখনাবিশিষ্ট পাইলট তিমি রয়েছে বলে অনুমান করা হয়। পাইলট তিমির অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা করা হয় যে, যদিও এরা আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ পরিষদের লাল তালিকায় অন্তর্ভক্ত, তথাপি এদের দীর্ঘ সময় পর্যন্ত টিকে থাকার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।[২]
তথ্যসূত্র
- ↑ "পাইলট তিমি"। ৫ জুলাই ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০০৯।
- ↑ "আমেরিকান সেটাসিয়ান সোসাইটি ফ্যাক্ট শিট"। ৫ জুলাই ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০০৯।