প্রলয় (চলচ্চিত্র)
প্রলয় | |
---|---|
পরিচালক | রাজ চক্রবর্তী |
প্রযোজক | শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্ম ও রাজ চক্রবর্তী প্রোডাকশন |
শ্রেষ্ঠাংশে | পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মিমি চক্রবর্তী রুদ্রনীল ঘোষ |
সুরকার | ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত |
চিত্রগ্রাহক | সুপ্রিয়া দত্ত |
সম্পাদক | বোধাদিত্য ব্যানার্জী |
প্রযোজনা কোম্পানি | শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১২২ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
প্রলয় ২০১৩ সালে প্রকাশিত বাংলা ভাষার একটি সামাজিক চলচ্চিত্র। সমাজকর্মী, শিক্ষক ও গন আন্দোলনের শহীদ বরুণ বিশ্বাসের জীবন অবলম্বনে এই ছবিটির পরিচালক রাজ চক্রবর্তী।[১][২]
কাহিনী
দুখিয়া গ্রামে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও তার ভাই প্রসুনের দলবল সন্ত্রাসের রাজত্ব চালায়। খুন জখম বিশেষত নারী ধর্ষন তাদের কাছে প্রায় উৎসবের মতো। গ্রামের মানুষ পুলিশের কাছে গেলে তারা বলে গ্রামটি তিনটি থানার মাঝিখানে এবং তাদের আওতার বাইরে। যারা প্রতিবাদ করে তাদের বাড়ির মহিলাদের ধর্ষন করা হয় ও বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেয় নেতার ভাই ও তার শাগরেদরা। গ্রামের সাহসী ছেলে বরুন আরো কিছু শিক্ষিত তরুনদের নিয়ে এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে। বরুন কলকাতার একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে। সেই সূত্রে তার আলাপ হয় বিনোদ বিহারী দত্তের সাথে। বরুনদের প্রতিবাদ উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছালে শেষে গ্রেপ্তার হয়ে যায় প্রসুন ও তার সহযোগী দুষ্কৃতীরা। এর বদলা নিতে বাড়ি ফেরার পথে রেল স্টেশনে খুন হয়ে যায় বরুন। এই ঘটনা জেনে বিনোদ বিহারী দত্ত বরুনের গ্রামে আসেন ও সেখানকার স্কুলে পড়ানোর কাজ নেন। তিনি দেখেন কয়েকজন বাদে সকলেই ভীরু, প্রতিবাদহীন। তিনি বরুনের মৃত্যুর কথা, তার প্রতিবাদের কথা কলকাতায় জনসাধারণের মধ্যে, সংবাদ মাধ্যমে বলার চেষ্টা করেন কিন্তু গুরুত্ব পাননা। এসময় স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসার অনিমেষ দত্ত আসেন গ্রামে। তিনি সাহায্য করতে থাকেন বিনোদ বিহারীকে। বিনোদ বুঝতে পারেন বরুনের খুনের বিচার হবেনা কারণ কোনো সাক্ষ্যদানকারী পাওয়া যায়নি। জেল থেকে অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যায় ও গ্রামে আবার অত্যাচার শুরু করে। বিনোদ বিহারী কৌশল অবলম্বন করে দুষ্কৃতীদের হত্যা করতে থাকেন এক এক করে। অনিমেষ সব বুঝতে পারলেও কোনো প্রমাণ খুঁজে পায়না।
অভিনয়
- পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় - বরুণ বিশ্বাস
- পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় - বিনোদ বিহারী দত্ত
- শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় - অনিমেষ
- মিমি চক্রবর্তী - দুর্গা
- রুদ্রনীল ঘোষ - প্রসুন
- কৌশিক রায়
- সুপ্রিয় দত্ত[২]
সঙ্গীত
- রোশনি এলো : অরিজিৎ সিং, অন্বেষা দত্তগুপ্ত, সায়নী পালিত
- হাত ধরেছে গাছের পাতা : শ্রেয়া ঘোষাল
- ঘুম ভাঙানোর গান : মোহন কানন
- কালা কই গেলি : শাল্মলী খোলগাড়ে
- ঘুম পাড়ানির গান : অরিজিৎ সিং
তথ্যসূত্র
- ↑ "Proloy's hero, Barun Biswas, a jatiswar?"। timesofindia.com। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৭।
- ↑ ক খ "Proloy (2013)"। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৭।