বাহারুল ইসলাম
বাহারুল ইসলাম | |
---|---|
জন্ম | ১০ অক্টোবর, ১৯৬৩ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক |
বাহারুল ইসলাম (ইংরেজি: Baharul Islam; অসমীয়া: বাহারুল ইছলাম) অসমের একজন বিখ্যাত চলচ্চিত্র ও মঞ্চ জগতের অভিনেতা ও নাটক পরিচালক। বর্তমান তিনি বাংলা, অসমীয়া ও ইংরেজি ভাষায় মোট ৮০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। শিগাল থিয়েটার গোটের প্রতিষ্ঠাপক ও এর সঙ্গে তিনি জন্মলগ্ন থেকে জড়িত ছিলেন। শিগাল থিয়েটারের জন্য তিনি ৩০ অধিক নাটক রচনা করেছেন।[১] তিনি বর্তমান শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্রের সাধারণ সদস্য রুপে কার্যনির্বাহ করার উপরিও নতুন দিল্লীতে অবস্থিত সংগীত নাটক একাডেমী থিয়েটারের উপদেষ্টা কমিটির একজন সদস্য। তিনি বহুসংখ্যক নাটক ও গ্রন্থ রচনা করেছেন। তিনি পরিচালনা করা নাটকসমূহে প্রায় নিজেই সংগীত পরিচালনা করেন।
শিক্ষা ও শৈশব জীবন
১৯৬৩ সনের ১০ অক্টোবর তারিখে অসমের রংজুলিতে বাহারুল ইসলামের জন্ম হয়। তার পিতার নাম সামাদ ও মাতার নাম আজিজা খাতুন। পিতার কর্মসুত্রে স্থান পরিবর্তন হওয়ায় তাকে রংজুলি থেকে লক্ষিমপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নামভর্তী করানো হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি গুয়াহাটির ভাস্কর বিদ্যালয়ে শিক্ষা আরম্ভ করেন। ১৯৮৬ সনে তিনি গুয়াহাটির আর্য কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।[২] ১৯৮৭ সনে বাহারুল নতুন দিল্লীর রাষ্ট্রীয় নাট্য বিদ্যালয়ে ছাত্ররুপে যোগদান করেন ও ১৯৯০ সনে অভিনয়ে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। তারপর তিনি অসমে ফিরে আসেন ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে জড়িত হন। নাট্য বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করার সময় তিনি কর্নাটকের ভাগিরথীর সহিত পরিচিত হন ও ১৯৯২ সনে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তার পত্নী ভাগিরথী নাট্য ও সাংস্কৃতিক জগতে সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করে আসছে। বাহারুল ইসলামের প্রথম অভিনয় ছিল ১৯৭৮-৭৯ সনে গুয়াহাতির জু-রোডে সার্বজনীন দূর্গা পূজা মণ্ডপে ক্ষিরোদ চৌধুরি পরিচালিত পানীমলার বিয়া নামক নাটকে। সেই সময়ে তিনি ছিলেন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। তারপর নাট্যকার করুণা ডেকার তত্বাবধানে বাহারুল ইসলামের অভিনয় জীবন প্রতিপালন হয়। সেই সময়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়া জ্যোতিরুপার অপকেন্দরীক নাটকের মাধ্যমে তার নিয়মীত অভিনয় জীবন আরম্ভ হয়। তিনি অভিনয় করা প্রথম নাটকটির নাম অঙ্কুর।[২]
অভিনীত অসমীয়া চলচ্চিত্র
- সূরুয
- পিতা-পুত্র
- সংকল্প
- মরম নদীর গাভরু ঘাট
- প্রভাতী পখীর গান
- বারুদ
- আপোনজন
- রঙা মদার
- মায়া
- বৈভব
- বাঘ মানুহর খেলা
- অন্তহীন যাত্রা
- সমীরণ বরুয়া আহি আছে (২০১২ চলচ্চিত্র)
- জাতিঙ্গা ইত্যাদি (চলচ্চিত্র) ৷
ছায়াছবি পরিচালনা
- আছেনে কোনোবা হিয়াত
- রোদর চিঠি
- দ্যা ঢুলীয়া, পাপেট থিয়েটার ইন আসাম
- লোকসংস্কৃতি (তথ্যচিত্র, ২০০৫)
- রাণী গাইডালু
প্রকাশিত পুস্তক
- একান্ত মনেরে
- সীমার খীপারে
- বিয়ণ্ড দা অব্ভিয়াছ
- খিরিকী খুলিয়েই
- কিছু কথা কিছু নাটক (২০১২)
পুরস্কার
- সংস্কৃতি সম্মান, একা এবং কয়েকজন প্রকাশন, গুয়াহাটি
- মনোহর সিং স্মৃতি পুরস্কার ২০০৫, এন.এস.ডি, সাংস্কৃতিক মন্ত্রালয়, ভারত সরকার
- নাট্যপ্রবর পুরস্কার ২০১১, শারদাকান্ত বরদলৈ স্মৃতি কমিটি, নগাঁও
- বিষ্ণুবসু স্মৃতি সম্মান, ব্রাট্যজন থিয়ৈটার, ২০১২ কলকাতা
তথ্যসূত্র
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ ক খ প্রমোদ শর্মা, মাণিক রায়; পানীমলার বিয়ার পরা র'দর চিঠিলৈ বাহারুল ইছলাম; বহুমুখ, আমার অসম, ২৮ আগস্ট, ২০১৩