ব্সাম-য়াস বৌদ্ধবিহার
ব্সাম-য়াস বৌদ্ধবিহার | |
---|---|
![]() ব্সাম-য়াস বৌদ্ধবিহার | |
স্থানাঙ্ক: | ২৯°১৯′৩১.৮০″ উত্তর ৯১°৩০′১৩.৩২″ পূর্ব / ২৯.৩২৫৫০০০° উত্তর ৯১.৫০৩৭০০০° পূর্ব |
মঠের তথ্য | |
অবস্থান | তিব্বত, চীন |
প্রতিষ্ঠাতা | শান্তরক্ষিত |
স্থাপিত | ৭৭৯ খ্রিষ্টাব্দ |
ধরন | তিব্বতি বৌদ্ধধর্ম |
ধর্মীয় গোষ্ঠী | র্ন্যিং-মা বৌদ্ধ ধর্মসম্প্রদায় |
ব্সাম-য়াস বৌদ্ধ বিহার (তিব্বতি: བསམ་ཡས་, ওয়াইলি: bsam yas, ZYPY: Samyä) তিব্বতের প্রাচীনতম বৌদ্ধ বিহার।
নির্মাণকাল
তিব্বতের সম্রাট খ্রি-স্রোং-ল্দে-ব্ত্সানের শাসনকালে আচার্য শান্তরক্ষিত লাসা থাকে দক্ষিণে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে তিব্বতের প্রাচীনতম বিহার ব্সাম-য়াস বৌদ্ধ বিহার নির্মাণের কাজ শুরু করেন এবং ৭৭৯ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হয় । [১]
গঠনশৈলী
এই বিহার পাল সাম্রাজ্যের সম্রাট ধর্মপালের রাজত্বকালে নির্মিত ওদন্তপুরী বিহারের অনুকরণে তৈরী করা হয়। [২] বিহারটি চতুষ্কোণ এবং সীমানা উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। চারদিকে চারটি প্রবেশদ্বার এবং মাঝখানে প্রধান বিহারটি অবস্থিত। প্রধান বিহারকে ঘিরে ভিক্ষুদের থাকবার জন্য দোতলা আবাসন। বিহারের চার কোণে ইটের তৈরী ছত্র শোভিত স্তুপ ও তার পাশে মাটির তৈরী বজ্রযানী স্তুপ আছে। তিনতলা প্রধান বিহারটি কাঠের তৈরী। একতলায় একটি বুদ্ধমূর্তি এবং বাইরে শান্তরক্ষিত, তার তিব্বতী শিষ্য বৈ-রো-ত্সা-না ও সম্রাট স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পোর মূর্তি আছে। [১]
শান্তরক্ষিতের দেহাবশেষ
৭৮৮ খ্রিষ্টাব্দে ব্সাম-য়াস বৌদ্ধ বিহারে এক দুর্ঘটনায় শান্তরক্ষিতের মৃত্যু হয়। তখন তার মরদেহ বিহারের পূর্ব দিকে এক পাহাড়ের সানুদেশে সমাহিত করা হয়। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে তার করোটি এবং অস্থি পঞ্জর বেরিয়ে পড়লে সেগুলি সংগ্রহ করে সম-য়ে বৌদ্ধ বিহা্রে রেখে দেওয়া হয়। [১]
চিত্রপ্রদর্শনী
-
ব্সাম-য়াস বৌদ্ধ বিহারে প্রার্থনা চক্র
-
ব্সাম-য়াস বৌদ্ধ বিহারের প্রাচীর
-
১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে ব্সাম-য়াস বৌদ্ধ বিহার
-
১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে ব্সাম-য়াস বৌদ্ধ বিহারের চর্তেন
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ গ তিব্বতে সওয়া বছর - রাহুল সাংকৃত্যায়ন, অনুবাদ - মলয় চট্টোপাধ্যায়, প্রকাশক - চিরায়ত প্রকাশন প্রাইভেট লিমিটেড, ১২ বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০৭৩, আইএসবিএন ৮১-৮৫৬৯৬-২৭-৬
- ↑ Lotus-Born by Yeshe Tsogyal, Erik Pema Kunsang, Marcia Binder Schmidt, Tsele Natsok Rangdrol. pg 290 [১]
আরো পড়ুন
- Dorje, Gyurme. (1999). Footprint Tibet Handbook with Bhutan. 2nd Edition. Footprint Handbooks Ltd. আইএসবিএন ০-৮৪৪২-২১৯০-২.
- Dowman, Keith. (1988) The Power-places of Central Tibet. Routledge & Kegan Paul. London & New York. আইএসবিএন ০-৭১০২-১৩৭০-০.
- Rene de Nebesky-Wojkowitz, Tibetan Religious Dances (The Hague:Mouton, 1976)
- Yeshe Tsogyel, The Life and Liberation of Padmasambhava, 2 vols., trans. Kenneth Douglas and Gwendolyn Bays (Berkeley: Dharma Publishing, 1978)
- Pearlman, Ellen (2002). Tibetan Sacred Dance: a journey into the religious and folk traditions. Rochester, Vermont, USA: Inner Traditions. আইএসবিএন ০-৮৯২৮১-৯১৮-৯
- Luke Wagner and Ben Deitle (2007). Samyé