রাফ রিচার্ডসন
স্যার রাফ রিচার্ডসন | |
---|---|
Ralph Richardson | |
জন্ম | রাফ ডেভিড রিচার্ডসন ১৯ ডিসেম্বর ১৯০২ চেল্টেনহাম, গ্লোচেস্টারশায়ার, ইংল্যান্ড |
মৃত্যু | ১০ অক্টোবর ১৯৮৩ | (বয়স ৮০)
সমাধি | হাইগেট সিমেট্রি |
পেশা | অভিনেতা |
পুরস্কার | পূর্ণ তালিকা |
স্যার রাফ ডেভিড রিচার্ডসন (ইংরেজি: Ralph David Richardson; ১৯ ডিসেম্বর ১৯০২ - ১০ অক্টোবর ১৯৮৩) ছিলেন একজন ইংরেজ অভিনেতা। তিনি তার সমসাময়িক জন গিলগুড ও লরন্স অলিভিয়ের পাশাপাশি বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ব্রিটিশ মঞ্চনাটকে কর্তৃত্ব স্থাপন করেছিলেন। তিনি তার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং ৬০টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। হ্যামলেট মঞ্চনাটকে অভিনয়ের পূর্বে তার মঞ্চ কর্মজীবনের প্রতি কোন ভাবনা ছিল না। তিনি ১৯২০ এর দশকে বার্মিংহাম রিপার্টরি থিয়েটার থেকে তার অভিনয় দক্ষতা অর্জন করেন। ১৯৩১ সালে তিনি ওল্ড ভিসে যোগ দেন এবং সেখানে তিনি শেকসপিয়রীয় চরিত্রে অভিনয় করতেন। তিনি পরের বছর গিলগুডের উত্তরসূরি হিসেবে কোম্পানিটি পরিচালনা করেন। গিলগুড তাকে মঞ্চের কার্য প্রণালি শিখিয়েছিলেন। এই কোম্পানি ছাড়ার পর ওয়েস্ট এন্ড থিয়েটার ও ব্রডওয়ে থিয়েটারে বেশ কিছু প্রধান চরিত্রে অভিনয় তাকে তারকা খ্যাতি এনে দেয়।
১৯৪০ এর দশকে তিনি অলিভিয়ে ও জন বারেলের সাথে ওল্ড ভিস কোম্পানি সহ-পরিচালনা করেন। সেখানে তার সবচেয়ে প্রসিদ্ধ চরিত্রগুলোর মধ্যে ছিল পির গিন্ট ও ফালস্টাফ। তিনি ও অলিভিয়ে ১৯৪৫ সালে ইউরোপ এই কোম্পানিটির এবং ১৯৪৬ সালে ব্রডওয়ের প্রধান চরিত্রে কাজ করেন। ১৯৫০ এর দশকে ওয়েস্ট এন্ড থিয়েটারে এবং বিভিন্ন সফলে, রিচার্ডসন আধুনিক ও ধ্রুপদী নাটকে অভিনয় করেন, যার মধ্যে রয়েছ দি এয়ার্স, হোম আট সেভেন, ও থ্রি সিস্টার্স। তিনি তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মঞ্চ ও চলচ্চিত্রে কাজ করে যান।
রিচার্ডসনের চলচ্চিত্র কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৩১ সালে চলচ্চিত্রের অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবে। তিনি পরবর্তীতে ব্রিটিশ ও মার্কিন চলচ্চিত্রে মূল ভূমিকায় কাজ শুরু করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হল থিংস টু কাম (১৯৩৬), দ্য ফলেন আইডন (১৯৪৮), লং ডেজ জার্নি ইনটু নাইট (১৯৬২) এবং ডক্টর ঝিভাগো (১৯৬৫)। তিনি ১৯৪৮ সাল থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত তার মঞ্চ ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে মনোনয়ন ও পুরস্কার লাভ করেন। রিচার্ডসন দুইবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন, প্রথমটি দি এয়ার্স (১৯৪৯) ছবির জন্য এবং দ্বিতীয়টি তার অভিনীত শেষ চলচ্চিত্র গ্রেস্টোক: দ্য লিজেন্ড অব টারজান, লর্ড অব দি এপস (১৯৮৪) ছবির জন্য।
জীবনী
রিচার্ডসন ১৯০২ সালের ১৯ ডিসেম্বর গ্লোচেস্টারশায়ারের চেল্টেনহামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আর্থার রিচার্ডসন এবং মাতা লিডিয়া'র (জন্মনাম রাসেল) তিন সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন। তার পিতামাতা প্যারিসে চিত্রশিল্পী উইলিয়াম আদোলফ বোগুয়েরোর নিকট পড়াকালীন পরিচিত হন।[১] আর্থার ১৮৯৩ সাল থেকে চেল্টেনহাম লেডিজ কলেজে কর্মরত ছিলেন।[২]
আমার যখন চার বছর বয়স, তখন তিনি আমাকে নিয়ে চলে যান।
রিচার্ডসন, পরিবার থেকে তার মায়ের
আলাদা হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে[৩]
১৯০৭ সালে তার পিতামাতা আলাদা হয়ে যান, কিন্তু কোন বিবাহ বিচ্ছেদ বা আনুষ্ঠানিকভাবে পৃথক হন নি। রিচার্ডসনের দুই বড় ভাই ক্রিস্টোফার ও অ্যামব্রোস তার পিতার সাথেই ছিলেন এবং তার মা লিডিয়া তাকে নিয়ে চলে যান। এই দম্পতির আলাদা হওয়ার প্রকাশ্য কারণ ছিল আর্থারের অধ্যয়নের জন্য লিডিয়ার ওয়ালপেপার পছন্দ। জন মিলারের জীবনী বই অনুসারে মূল কারণ যাই হোক না কেন তা জানা যায় নি।[৪] আরেকজন জীবনীকার গ্যারি ওকনর ধারণা করেন যে আর্থার রিচার্ডসন সম্ভবত বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন।[৫]