লাতাকিয়া
লাতাকিয়া اللاذقية | |
---|---|
শহর | |
ডাকনাম: "ভূমধ্যের বধূ"[১] | |
সিরিয়ায় লাতাকিয়ার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৩৫°৩১′ উত্তর ৩৫°৪৭′ পূর্ব / ৩৫.৫১৭° উত্তর ৩৫.৭৮৩° পূর্ব | |
Country | সিরিয়া |
প্রদেশ | লাতাকিয়া প্রদেশ |
জেলা | লাতাকিয়া জেলা |
সরকার | |
• গভর্নর | আহমাদ শেইখ আব্দুল কাদের[৩] |
আয়তন | |
• স্থলভাগ | ৫৮ বর্গকিমি (২২ বর্গমাইল) |
• মহানগর | ১০৮ বর্গকিমি (৪২ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ১১ মিটার (৩৬ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০০৪-এর আদমসুমারী) | |
• শহর | ৩,৮৩,৭৮৬[২] |
• মহানগর | ৪,২৪,৩৯২ |
বিশেষণ | আরবি: لاذقاني, প্রতিবর্ণীকৃত: Lādhqani |
এলাকা কোড | 41 |
ভৌগোলিক কোড | C3480 |
Climate | Csa |
ওয়েবসাইট | eLatakia |
লাতাকিয়া (আরবি: الْلَاذِقِيَّة al-Lādhiqīyah; Syrian উচ্চারণ: [el.laːdˈʔɪjje, -laːðˈqɪjja]), হল একটি শহর যেখানে সিরিয়ার প্রধান সমুদ্র বন্দর অবস্থিত এবং লাতাকিয়া প্রদেশের রাজধানী। ঐতিহাসিকভাবে, এটি "সিরিয়ার অনাগ্রহ" বা "লাওডিসিয়া এড মেয়ার" নামে পরিচিত। বন্দর শহর হিসবে গড়ে তোলার পাশাপাশি, লাতাকিয়ার আশপাশের কৃষিভিত্তিক শহর ও গ্রামের সুবিধার জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে। ২০০৪ সালের আদমসুমারী অনুযায়ী শহরটির জনসংখ্যা ছিল ৩৮৩,৭৮৬।[৪][৫] এটির জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ সিরিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে যুদ্ধবিদ্ধস্ত এলাকাগুলো হতে মানুষের আগমন। আলেপ্পো, দামেস্ক এবং হিমসের পর এটি সিরিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম শহর। এর দক্ষিণ দিকে রয়েছে তারতুস, পূর্ব দিকে হামা, উত্তর দিকে ইদলিব। সিপরাসের কেপ এপস্তলস আন্দ্রিয়াস লাতাকিয়া থেকে ৬৮ মাইল (১০৯ কিমি) দূরে।[৬]
শব্দের উৎপত্তি
সেলেউসিড সম্রাজ্য-এর অন্যান্য শহরের মতো, লাতাকিয়াও শাসকদের নাম অনুসারে নামকরিত হয়েছিল।[৭] একজন শাসক সেলেউকাস আই নিকাতর তার মায়ের নাম, লাওডিস এর নাম অনুসারে লাতাকিয়া শহরের নাম রেখেছিলেন "উপকূলের লাওডিকেইয়া"। লাতিন ভাষায় এর নাম হয় "লাওডিসিয়া এড মেয়ার"। আরবী ভাষায় এ শহরের নাম ছিল "আল-লাধিকিয়াহ" (আরবি: للاذقية)। কিন্তু লাতাকিয়ার আরবী নামটিই শেষ পর্যন্ত টিকে ছিল। ফরাসি উচ্চারণে তা হয়ে যায় "লাত্তাকুয়ি" এবং ইংরেজি ভাষায় এটি হয় "লাতাকিয়া" বা "লাত্তাকিয়া"।[৭][৮] উসমানীয়রা এটিকে বলত লাজকিয়ে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
অর্থনীতি
লাতাকিয়া সমুদ্রবন্দর (Arabic: ميناء اللاذقية) সিরিয়ার প্রধান সমুদ্র বন্দর। ১৯৫০ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি এটি চালু করা হয়। তখন থেকেই লাতাকিয়া শহর সিরিয়ার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই বন্দরের মাধ্যমে কাপড়, স্থাপত্য সংক্রান্ত সরঞ্জাম, গাড়ি, আসবাবপত্র, খনিজ, মাদকদ্রব্য, তুলা এবং নানান খাদ্যদ্রব্য যেমন পেঁয়াজ, গম, বার্লি, ভুট্টা, ডুমুর ইত্যাদি আমদানি করা হয়। ২০০৮ সালে, বন্দরটি প্রায় ৮০ লক্ষ টনের কার্গো আদান-প্রদান করে। এছাড়া লাতাকিয়া কৃষির জন্যে বিখ্যাত। এটি খনিজ দ্রব্য, তুলা, ফল, ডিম, সবজি তেল, মৃৎশিল্প, নেশাজাতীয় দ্রব্য ইত্যাদি রপ্তানি করে। তুলার বীজ ছাড়ানো, সবজি প্রক্রিয়াজাত করা, চামড়া ট্যানিং ইত্যাদি লাতাকিয়ার প্রধান শিল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম।[৯]
শিক্ষা
লাতাকিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭১ সালের মে মাসে তৈরি করা হয়েছিল। ১৯৭৩ সালের ইয়োম কিপ্পুর যুদ্ধের স্মরণে, ১৯৭৬ সালে, তিশরিন বিশ্ববিদ্যালয় (অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়) নামে এটিকে নামকরণ করা হয়। প্রথমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র ৩টি অনুষদ যথাক্রমে সাহিত্য, বিজ্ঞান ও কৃষি ছিল এবং ছাত্রসংখ্যা ছিল মাত্র ৯৮৩ জন।[১০] কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় এই সংখ্যা ৭০,০০০ হাজার[১০] ছাড়িয়ে যায় এবং এটি সিরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণিত হয়। বর্তমানে এটির প্রায় ১৭টি অনুষদ রয়েছে। এগুলো হল ওষুধ, ফার্মাসি, দাতব্য, বিজ্ঞান, নার্সিং, শিক্ষা, কৃষি, আইন, ইতিহাস, ইলেক্ট্রিকাল এন্ড টেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কলা এবং আরো অন্যান্য অনুষদ। লাতাকিয়ায় আরো রয়েছে আরব একাডেমী ফর সাইন্স এন্ড টেকনোলজি এন্ড মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট।[৯]
২০১৬ সালের ২৬ নভেম্বরে, সিরিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমাদ খামিসের পৃষ্ঠপোষকতায়, আল-মানারা বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হয়।[১১] ২০১৭ সাল পর্যন্ত এর অনুষদগুলো ছিল ফার্মেসি, স্বাস্থ্য, প্রকৌশল এবং ব্যবসা।[১২]
আরও দেখুন
- সিরিয়ার শহরসমূহ
- লাতাকিয়ার কৃতি ব্যক্তিত্বগণ
তথ্যসূত্র
- ↑ Hamsa। "Meshquita; treasure trove of sparkling springs and lush forests"। syriatimes.sy। ২ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Latakia city population"। ২০১৩-০৩-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-১৪।
- ↑ H. Zain / Mazen / H. Sabbagh (২৩ এপ্রিল ২০১১)। "New Governor of Lattakia sworn in"। Syrian Arab News Agency। ২৬ এপ্রিল ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ "Archived copy"। ২০১৩-০৩-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৬-২০।
- ↑ City population size reported at "World-Gazetteer.com"। ২০১৩-০২-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। CityPopulation.de ওয়েবসাইটেও একই কথা উল্লেখ ছিল
- ↑ "Archived copy"। ২০১৬-১০-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-২৯।
- ↑ ক খ le Strange, 1890, p.380.
- ↑ Ball, 2000, p.157
- ↑ ক খ Latakia. (2009). In Encyclopædia Britannica. Retrieved 2009-03-01, from Encyclopædia Britannica Online.
- ↑ ক খ admm (১৯ জুন ২০১০)। "عن الجامعة"। tishreen.edu.sy। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Al-Manara University opened in Lattakia – Syrian Arab News Agency"। Syrian Arab News Agency। ২৭ নভেম্বর ২০১৬। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "University in Brief – جامعة المنارة – Manara University"। manara.edu.sy। ২১ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৮।
গ্রন্থপঞ্জি
- Ball, Warwick (২০০০), Rome in the East: The Transformation of an Empire, Routledge, আইএসবিএন 9780415113762 .
- Beattie, Andrew; Pepper, Timothy (২০০১), The Rough Guide to Syria, Rough Guides, আইএসবিএন 9781858287188
- Carter, Terry; Dunston, Lara; Humphreys, Andrew (২০০৪), Syria & Lebanon, Lonely Planet, আইএসবিএন 9781864503333
- Carter, Terry; Dunston, Lara; Thomas, Amelia (২০০৮), Syria & Lebanon, Lonely Planet, আইএসবিএন 9781741046090
- Dumper, Michael; Stanley, Bruce E.; Abu-Lughod, Janet L. (২০০৭), Cities of the Middle East and North Africa: A Historical Encyclopedia, ABC-CLIO, আইএসবিএন 9781576079195 .
- Fahlbusch, Erwin; Bromiley, Geoffrey William (২০০৮), The Encyclopedia Of Christianity: Volume 5: Si-Z, Wm. B. Eerdmans Publishing, আইএসবিএন 9780802824172 .
- Hamilton, H.C.; Falconer, W., সম্পাদকগণ (১৮৫৭), The Geography of Strabo, III, London: Henry G. Bohn .
- Maʻoz, Moshe; Yaniv, Avner; Gustav Heinemann Institute of Middle Eastern Studies (১৯৮৬), Syria Under Assad: Domestic Constraints and Regional Risks, Taylor & Francis, আইএসবিএন 978-0-7099-2910-9 .
- Mannheim, Ivan (২০০১), Syria & Lebanon Handbook: The Travel Guide, Footprint Travel Guides, আইএসবিএন 9781900949903
- Minahan, James (২০০২), Encyclopedia of the stateless nations: ethnic and national groups around the world, Greenwood Publishing Group, আইএসবিএন 9780313323843 .
- Oxford Business Group (২০০৬), Emerging Syria 2006, Oxford Business Group, আইএসবিএন 9781902339443 .
- Podeh, Elie (১৯৯৯), The Decline of Arab Unity: The Rise And Fall of the United Arab Republic, Sussex Academic Press, আইএসবিএন 978-1-84519-146-7
- Rabinovich, Itamar (১৯৭৯), "The Compact Minorities and the Syrian State, 1918-45", Journal of Contemporary History, 14 (4): 693–712, ডিওআই:10.1177/002200947901400407
- Riley-Smith, Jonathan (২০০৫), The Crusades: A History, Continuum International Publishing Group, আইএসবিএন 9780826472700 .
- Ring, Trudy; Salkin, Robert M.; La Boda, Sharon (১৯৯৪), International Dictionary of Historic Places, Taylor & Francis, আইএসবিএন 9781884964039 .
- le Strange, Guy (১৮৯০), Palestine Under the Moslems: A Description of Syria and the Holy Land from A.D. 650 to 1500, Committee of the Palestine Exploration Fund, আইএসবিএন 978-0-404-56288-5 .
- Society of Arts (Great Britain) (১৯০৬), Journal of the Society of Arts, 54, The Society .
- Winckler, Onn (১৯৯৮), Demographic developments and population policies in Baʻathist Syria, Sussex Academic Press, আইএসবিএন 978-1-902210-16-2
বহিঃসংযোগ
- elatakia The First Complete website for Latakia news and services
- Latakia news and services (আরবি)
- [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] Tishreen University[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] (ইংরেজি) (আরবি)
- Audio interview with Latakia resident about life in Latakia (ইংরেজি)
- Pictures from 2009
- "Latakia"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। ১৯১১।
টেমপ্লেট:সিরিয়ার শহরসমূহটেমপ্লেট:লাতাকিয়া প্রদেশ টেমপ্লেট:ভূমধ্যের খেলা