স্বাধ্যায় আন্দোলন
হিন্দুধর্ম |
---|
ধারাবাহিকের অংশ |
![]() |
স্বাধ্যায় আন্দোলন বা স্বাধ্যায় পরিবার ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য, বিশেষ করে মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে ২০ শতকের মাঝামাঝি শুরু হয়েছিল।[১] আন্দোলনটি 'পাণ্ডুরং শাস্ত্রী আথাভালে' কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত, এবং এটি আত্ম-অধ্যয়ন (স্বাধ্যায়), নিঃস্বার্থ ভক্তি ও আধ্যাত্মিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য উপনিষদ ও ভগবদ্গীতার মতো ভারতীয় শাস্ত্রের প্রয়োগের উপর জোর দেয়।[১][২]
আন্দোলনটি বৈদিক বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত উপনিষদিক মহাবাক্য এর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যে ঈশ্বর নিজের মধ্যে, প্রতিটি মানুষ, সমস্ত জীবিত প্রাণী এবং ঈশ্বরের সমস্ত সৃষ্টি। এটি স্বেচ্ছাসেবী স্ব-অধ্যয়ন, স্ব-জ্ঞান, সম্প্রদায়ের বক্তৃতা এবং নিজের ও অন্যদের মধ্যে ঈশ্বরের প্রতি দায়বদ্ধতার সাথে কাজকে উৎসাহিত করে।[৩] এটি যোগেশ্বর কৃষ্ণকে প্রধান দেবতা হিসেবে, এবং পাশাপাশি পার্বতী, গণেশ ও শিবকে তুলে ধরে। এটিতে দেবতা সূর্য সূর্যালোকের রূপে স্বীকৃত। স্মার্ত ঐতিহ্যের পঞ্চায়তন পূজা বিন্যাসে প্রার্থনা করা হয়, যা আদি শঙ্করকে আরোপিত করা হয়।[৪] সম্প্রদায়ের সদস্যরা ভাবভক্তি (ঈশ্বরের প্রতি আবেগপূর্ণ ভক্তি), কৃত্তিভক্তি (সমস্ত ঈশ্বরের সৃষ্টিতে ঈশ্বরের প্রতি স্বেচ্ছাসেবা দ্বারা কর্মময় ভক্তি) এবং ভক্তিফেরি (সম্প্রদায়ের অংশীদারদের সাথে দেখা, কাজ ও মঙ্গল কামনায় ভক্তিমূলক ভ্রমণ) এ অংশগ্রহণ করে।[৩] আন্দোলনের সদস্যরা সংগঠনের সকল নারী-পুরুষকে একটি পরিবার হিসেবে বিবেচনা করে।[৩]
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ Pankaj Shah (২০১৬)। "Swadhyaya Movement and Pandurang Shastri Athavale"। Knut A. Jacobsen; Helene Basu; Angelika Malinar; Vasudha Narayanan। Brill's Encyclopedia of Hinduism। ডিওআই:10.1163/2212-5019_beh_COM_9000000274।
- ↑ Mary Pat Fisher (১৯৯৬)। Swadhyay Movement in Living Religions: An Encyclopaedia of the World's Faiths। I.B.Tauris। পৃষ্ঠা 109। আইএসবিএন 1-86064-148-2।
- ↑ ক খ গ Ananta Kumar Giri (২০০৯)। Self-development and Social Transformations?: The Vision and Practice of the Self-study Mobilization of Swadhyaya। Lexington Books। পৃষ্ঠা 1–14। আইএসবিএন 978-0-7391-1198-7।
- ↑ Thomas G. Kirsch (২০১৬)। Permutations of Order: Religion and Law as Contested Sovereignties। Routledge। পৃষ্ঠা 91–92। আইএসবিএন 978-1-317-08215-6।