হট স্পট (ক্রিকেট)
হটস্পট হচ্ছে ইনফ্রারেড ইমেজিং প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া এখন পর্যন্ত ক্রিকেট ছাড়া অন্য কোথাও খুব একটা দেখা যায় নি। সাধারণত ক্রিকেট খেলায় ব্যাটসম্যানের গায়ে অর্থাৎ প্যাডে, গ্লাভসে কিংবা ব্যাটে বল’র টাচ বা এডজ বের করতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতির দ্বারা একজন ব্যাটার আউট হওয়া না হওয়ার ব্যাপারে জানা যায়।
যেভাবে হট স্পট কাজ করে
মাঠে’র দুই আম্পায়ার যখন কোনও আউট’র জন্য থার্ড আম্পায়ার’র কাছে যান তখন তিনি হট স্পট দিয়ে এডজ কিংবা স্পর্শ পরীক্ষা করে দেখেন। ইনফ্রারেড (Infrared) ইমেজিং এর কারণে ব্যাটসম্যানের চারপাশ এবং ব্যাটসম্যানকে কালো দেখায়। অনেকটা ম্যানুয়াল ক্যামেরার নেগেটিভ এর মত। সেক্ষেত্রে স্পর্শ এর জায়গাটা তুলনামূলকভাবে সাদা দেখায়। এ প্রক্রিয়ার জন্য দুটি ক্যামেরার প্রয়োজন হয়। দুটি ক্যামেরাকে থাকতে হবে সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে। এবং এই ক্যামেরাগুলুকে থাকতে হবে মাঠ থেকে কিছুটা উপরে পুরা খেলাটাকে ভিডিও করা অবস্থায়। বল অন্য কোনও কিছু’র অংশের সাথে সংঘর্ষ করলে সেই জায়গাটা সাদা করে দেওয়াই হটস্পট এর কাজ।
হট স্পট এর অতীত কথা
ফ্রান্সের গবেষক নিকোলাস বিওন (Nicholas Bion) সর্বপ্রথম হট স্পট সিস্টেম আবিষ্কার করেন। ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় সর্বপ্রথম (অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড) খেলার সময় এই হটস্পট সিস্টেম প্রথম চালু করা হয়। কিন্তু আরও আগে দ্য গাব্বা’তে ২৩ নভেম্বের ২০০৬ হটস্পট তার পথ চলা শুরু করে। স্কাই স্পোর্টস ও স্নিকোমিটার নামক অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানী এই হট স্পট সিস্টেমে’র উদ্দোগতা। তবে ঐ অ্যাশেজ কিন্তু নাইন নেটওয়ার্ক কোম্পানি এই প্রযুক্তি নিয়ে আসে।