হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজনার অফ আজকাবান (চলচ্চিত্র)

হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজনার অফ আজকাবান
চলচ্চিত্র মুক্তির পোস্টার
পরিচালকআলফোনসো কুয়ারোন
প্রযোজক
চিত্রনাট্যকারস্টিভ ক্লোভস
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারজন উইলিয়ামস
চিত্রগ্রাহকমাইকেল সেরেসিন
সম্পাদকস্টিভেন উইসবার্গ
প্রযোজনা
কোম্পানি
  • ওয়ার্নার ব্রাদার্স পিকচার্স[]
  • হেইডে ফিল্মস[]
  • ১৪৯২ পিকচার্স[]
পরিবেশকওয়ার্নার ব্রাদার্স পিকচার্স[]
মুক্তি
  • ২৩ মে ২০০৪ (2004-05-23) (রেডিও সিটি মিউজিক হল)
  • ৩১ মে ২০০৪ (2004-05-31) (যুক্তরাজ্য)
  • ৪ জুন ২০০৪ (2004-06-04) (যুক্তরাষ্ট্র)
স্থিতিকাল১৪২ মিনিট[]
দেশ
  • যুক্তরাজ্য
  • যুক্তরাষ্ট্র[]
ভাষাইংরেজি
নির্মাণব্যয়১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার[]
আয়৮০৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার[]

হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজনার অফ আজকাবান ২০০৪ সালের একটি ফ্যান্টাসি চলচ্চিত্র। মেক্সিকান পরিচালক আলফন্সো কুয়ারোন জে.কে রাউলিং-এর একই নামের জনপ্রিয় উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন। এটি হ্যারি পটার চলচ্চিত্র সিরিজের তৃতীয় কিস্তি এবং ২০০২ সালের "হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অফ সিক্রেটস"-এর সিক্যুয়েল। ড্যানিয়েল র‍্যাডক্লিফ চলচ্চিত্রে হ্যারি পটারের মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। রুপার্ট গ্রিন্ট এবং এমা ওয়াটসন যথাক্রমে হ্যারির ঘনিষ্ঠ বন্ধু রন উইজলি এবং হারমায়োনি গ্রেঞ্জারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রটি হ্যারি পটারের হগওয়ার্টসে তৃতীয় বর্ষের অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরে। হ্যারি তার অতীত সম্পর্কে সত্য উন্মোচন করার চেষ্টা করে – তার সাথে কুখ্যাত আজকাবান কারাগার থেকে পলাতক বন্দী সিরিয়াস ব্ল্যাক এবং হ্যারির মৃত বাবা-মায়ের মধ্যকার সম্পর্কের রহস্য খোঁজে।

এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে হ্যারি পটার সিরিজের নির্মাণকাল আঠারো মাসে উন্নীত হয়। ক্যালি খুরি এবং কেনেথ ব্রানাগ-এর মতো পরিচালকদের নিয়ে তৈরি একটি তালিকা থেকে কুয়ারোনকে পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। গ্যারি ওল্ডম্যান, ডেভিড থিউলিস, টিমথি স্প্যাল এবং এমা থম্পসনসহ আরও অনেকেই এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে আসেন। ২০০২ সালে রিচার্ড হ্যারিসের মৃত্যুর কারণে প্রফেসর আলবাস ডাম্বলডোরের চরিত্রে প্রথমবারের মতো মাইকেল গ্যাম্বনকে দেখা যায়। লিভসডেন ফিল্ম স্টুডিওতে ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে চলচ্চিত্রটির প্রধান ফটোগ্রাফি শুরু হয়। স্কটল্যান্ডে অনেকগুলো সেট তৈরি করা হয় এবং লন্ডনে নানা দৃশ্যধারণের মাধ্যমে এটি ছিল সিরিজের প্রথম চলচ্চিত্র যেখানে বাস্তব জীবনের স্থানগুলো প্রধান্য পায়। ২০০৩ সালের নভেম্বরে চিত্রগ্রহণ সমাপ্ত হয়।

২০০৪ সালের ৩১শে মে যুক্তরাজ্যে এবং ৪ঠা জুন উত্তর আমেরিকায় চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। আইম্যাক্স টেকনোলজি ব্যবহার করা এটিই ছিল সিরিজের প্রথম চলচ্চিত্র এবং সেকারণে আইম্যাক্স থিয়েটারগুলোতেও মুক্তি পায়। প্রিজনার অফ আজকাবান বিশ্বব্যাপী মোট $৭৯৮ মিলিয়ন আয় করে, যা ২০০৪ সালের "শ্রেক ২"-এর পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র হিসেবে স্থান করে নেয়। সমালোচকরা কুয়ারোনের পরিচালনা এবং অভিনয়শিল্পীদের অভিনয়ের প্রশংসা করেন। হ্যারি পটার সিরিজের সুর এবং নির্দেশনার শৈলীতে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনার জন্য এই চলচ্চিত্রটির ভূমিকা রয়েছে। অনেক সমালোচক ও ভক্তদের কাছে এটিকে হ্যারি পটার সিরিজের সেরা চলচ্চিত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ২০০৫ সালে "হ্যারি পটার অ্যান্ড গবলেট অফ ফায়ার" এর মাধ্যমে এই চলচ্চিত্রটির পরের কাহিনী দেখানো হয়।

তথ্যসূত্র

  1. উদ্ধৃতি সতর্কবার্তা: AFI নামসহ <ref> ট্যাগের প্রাকদর্শন দেখা যাবে না কারণ এটি বর্তমান অনুচ্ছেদের বাইরে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে বা একেবারেই সংজ্ঞায়িত করা হয়নি।
  2. উদ্ধৃতি সতর্কবার্তা: BBFC নামসহ <ref> ট্যাগের প্রাকদর্শন দেখা যাবে না কারণ এটি বর্তমান অনুচ্ছেদের বাইরে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে বা একেবারেই সংজ্ঞায়িত করা হয়নি।
  3. উদ্ধৃতি সতর্কবার্তা: BFI নামসহ <ref> ট্যাগের প্রাকদর্শন দেখা যাবে না কারণ এটি বর্তমান অনুচ্ছেদের বাইরে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে বা একেবারেই সংজ্ঞায়িত করা হয়নি।
  4. উদ্ধৃতি সতর্কবার্তা: BOM নামসহ <ref> ট্যাগের প্রাকদর্শন দেখা যাবে না কারণ এটি বর্তমান অনুচ্ছেদের বাইরে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে বা একেবারেই সংজ্ঞায়িত করা হয়নি।