২০১৬–১৭ সংযুক্ত আরব আমিরাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম পাকিস্তান ক্রিকেট দল
২০১৬-১৭ সংযুক্ত আরব আমিরাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম পাকিস্তান ক্রিকেট দল | |||
---|---|---|---|
পাকিস্তান | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ||
তারিখ | ২০ সেপ্টেম্বর – ৩ নভেম্বর, ২০১৬ | ||
অধিনায়ক |
মিসবাহ-উল-হক (টেস্ট) আজহার আলী (ওডিআই) সরফরাজ আহমেদ (টি২০আই) |
জেসন হোল্ডার (টেস্ট ও ওডিআই) কার্লোস ব্রাদওয়েট (টি২০আই) | |
টেস্ট সিরিজ | |||
ফলাফল | ৩ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান ২–১ ব্যবধানে জয়ী | ||
সর্বাধিক রান | আজহার আলী (৪৭৪) | ক্রেগ ব্রেদওয়েট (৩২৮) | |
সর্বাধিক উইকেট | ইয়াসির শাহ (২১) | দেবেন্দ্র বিশু (১৮) | |
সিরিজ সেরা খেলোয়াড় | ইয়াসির শাহ (পাকিস্তান) | ||
একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজ | |||
ফলাফল | ৩ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান ৩–০ ব্যবধানে জয়ী | ||
সর্বাধিক রান | বাবর আজম (৩৬০) | মারলন স্যামুয়েলস (১১৬) | |
সর্বাধিক উইকেট | মোহাম্মদ নওয়াজ (৭) |
আলজারি যোসেফ (৪) জেসন হোল্ডার (৪) | |
সিরিজ সেরা খেলোয়াড় | বাবর আজম (পাকিস্তান) | ||
টোয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক সিরিজ | |||
ফলাফল | ৩ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান ৩–০ ব্যবধানে জয়ী | ||
সর্বাধিক রান | বাবর আজম (১০১) | ডোয়েন ব্র্যাভো (৮৪) | |
সর্বাধিক উইকেট | ইমাদ ওয়াসিম (৯) |
কেস্রিক উইলিয়ামস (২) স্যামুয়েল বদ্রি (২) | |
সিরিজ সেরা খেলোয়াড় | ইমাদ ওয়াসিম (পাকিস্তান) |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল তিনটি টেস্ট ক্রিকেট, তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক এবং তিনটি টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক খেলার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করে, যা সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর ২০১৬-এ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রকৃতপক্ষে এ সময়সূচীতে দুই টেস্ট, পাঁচ ওডিআই ও দুইটি টি২০আই আয়োজনের কথা ছিল।[১] মে, ২০১৬ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) শ্রীলঙ্কায় সিরিজ আয়োজনের বিষয়ে চেষ্টা চালায়।[২] কিন্তু মৌসুমী ঋতু বিরাজমান থাকায় শ্রীলঙ্কায় আয়োজনের এ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। আগস্ট, ২০১৬ সালে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিন/রাতের ক্রিকেট আয়োজনের কথা পিসিবি ঘোষণা করে।[৩][৪][৫]
দলীয় সদস্য
টেস্ট | ওডিআই | টি২০আই | |||
---|---|---|---|---|---|
পাকিস্তান | ওয়েস্ট ইন্ডিজ[৬] | পাকিস্তান[৭][৮] | ওয়েস্ট ইন্ডিজ[৯] | পাকিস্তান[১০] | ওয়েস্ট ইন্ডিজ[৯] |
|
প্রস্তুতিমূলক খেলা
টি২০: আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড একাদশ ব ওয়েস্ট ইন্ডিজ
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬
স্কোরকার্ড |
ব
|
আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড একাদশ
১৪৪/৬ (২০ ওভার) | |
মোহাম্মদ কাশিম ৪৬ (৫৪)
স্যামুয়েল বদ্রি ৩/২০ (৪ ওভার) |
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- প্রতি দলে ১৫ খেলোয়াড় (১১ ব্যাটিং, ১১ ফিল্ডিং)।
দুই-দিনের: আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড একাদশ ব ওয়েস্ট ইন্ডিজ
৩–৪ অক্টোবর ২০১৬
স্কোরকার্ড |
আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড একাদশ
|
ব
|
|
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- প্রতি দলে ১৫ খেলোয়াড় (১১ ব্যাটিং, ১১ ফিল্ডিং)।
তিন-দিনের: পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড উপদেষ্টা একাদশ ব ওয়েস্ট ইন্ডিজ
পিসিবি উপদেষ্টা একাদশ
|
ব
|
|
টি২০আই সিরিজ
১ম টি২০আই
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬
স্কোরকার্ড |
ব
|
||
- পাকিস্তান টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- নিকোলাস পুরাণ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) তার টি২০আই অভিষেক হয়।
- ইমাদ ওয়াসিম টি২০আইতে পাঁচ উইকেট শিকারকারী পাকিস্তানের হয়ে প্রথম স্পিনার হয়েছেন।[১১]
২য় টি২০আই
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬
স্কোরকার্ড |
ব
|
||
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- শোয়েব মালিক পাকিস্তানের হয়ে টি২০আইতে ১,৫০০ রানের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হয়েছিলেন।[১২]
- সোহেল তানভীর পাকিস্তানের হয়ে টি২০আইতে ৫০ উইকেট শিকার করা চতুর্থ বোলার হয়েছেন।[১৩]
৩য় টি২০আই
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
স্কোরকার্ড |
ব
|
||
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- রুম্মান রইস (পাকিস্তান) ও কেস্রিক উইলিয়ামস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) তার টি২০আই অভিষেক হয়।
- তিন ম্যাচের টি২০আই সিরিজে এটিই পাকিস্তানের প্রথম হোয়াইটওয়াশ।[১৪]
ওডিআই সিরিজ
১ম ওডিআই
ব
|
||
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- ফ্লাডলাইটের সমস্যায় পাকিস্তানের ইনিংস ৪৯ ওভারে সম্পন্ন হওয়ায় উভয় দলকে একই ওভার নির্ধারণ করা হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২৮৭ ধরা হয়।
- ক্রেগ ব্রাদওয়েট (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) তার ওডিআই অভিষেক হয়।
- বাবর আজম (পাকিস্তান) ওডিআইতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন।
২য় ওডিআই
ব
|
||
- পাকিস্তান টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- আলজারি যোসেফ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) তার ওডিআই অভিষেক হয়।
৩য় ওডিআই
ব
|
||
- পাকিস্তান টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- এভিন লুইস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) তার ওডিআই অভিষেক হয়।
- বাবর আজম একের পর এক তিন ইনিংস ইনিংসে সেঞ্চুরি করা পাকিস্তানের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হয়েছিলেন।
- বাবর আজম (পাকিস্তানে) তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সর্বাধিক রান তোলেন (৩৬০)।
- আজহার আলী তিন ওয়ানডে সেঞ্চুরি করা প্রথম পাকিস্তান অধিনায়ক হয়েছেন।
- ওয়াহাব রিয়াজ (পাকিস্তান) তার শততম ওডিআই উইকেট সংগ্রহ করেন।
টেস্ট সিরিজ
১ম টেস্ট
ব
|
||
- পাকিস্তান টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- এ খেলাটি পাকিস্তানের ৪০০তম টেস্ট ম্যাচ।
- এ টেস্টটি ইতিহাসের দ্বিতীয় দিবা/রাত্রির টেস্ট ম্যাচ।
- বাবর আজম ও মোহাম্মদ নওয়াজ (পাকিস্তান) উভয়ই তার টেস্ট অভিষেক হয়।
- আজহার আলী (পাকিস্তান) দিবা/রাত্রির টেস্টে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি ও ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন। এ সময়ে ৪,০০০ রানরে কোটা অতিক্রম করেন তিনি।
- ইয়াসির শাহ (পাকিস্তান) টেস্টে ১০০ উইকেট শিকারকারী যৌথ দ্বিতীয় দ্বিতীয় খেলোয়াড় হয়েছেন।
- দেবেন্দ্র বিশু বিদেশের মাটিতে সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান।
- দেবেন্দ্র বিশু এশিয়ার একজন দর্শনার্থীর পক্ষে সেরা পরিসংখ্যানও রেকর্ড করেছেন।
- সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্বল্পতম ব্যবধানে পাকিস্তান টেস্ট জয় করে।
২য় টেস্ট
২১–২৫ অক্টোবর ২০১৬
স্কোরকার্ড |
ব
|
||
- পাকিস্তান টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- শ্যানন গ্যাব্রিয়েল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) টেস্টে তার প্রথম পাঁচ উইকেট নেন।
- ইউনুস খান এবং মিসবাহ-উল-হক ১ম ইনিংসে ১৭৫ রানের জুটি তাদের টেস্টে পাকিস্তানের সবচেয়ে উর্বর ব্যাটিং যুগল তৈরি।
- রাহাত আলী (পাকিস্তান) টেস্টে তার ৫০ তম উইকেট নেন।
- ইয়াসির শাহ (পাকিস্তান) টেস্টে তার দ্বিতীয় ১০ উইকেট নেন।
- এই মিসবাহ-উল-হক এর অধিনায়ক হিসেবে দশম সিরিজ জয়, টেস্টে একটি এশিয়ান অধিনায়ক জন্য সবচেয়ে ছিল।
৩য় টেস্ট
৩০ অক্টোবর–৩ নভেম্বর ২০১৬
স্কোরকার্ড |
ব
|
||
- পাকিস্তান টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- মিসবাহ-উল-হক টেস্টে সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব (৪৯)।
- ক্রেগ ব্রেদওয়েট তার ব্যাট বাহিত প্রথম ইনিংসে পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের একাজ করার।
- জেসন হোল্ডার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) টেস্টে তার প্রথম পাঁচ-উইকেট লাভ করেন।
- ক্রেগ ব্রাথওয়েট প্রথম ওঠে ওপেনার থাকতে অপরাজিত একটি টেস্টের উভয় ইনিংসে।
- এই পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম টেস্ট জয় বাড়ি থেকে দূরে ছিল সাল থেকে ১৯৯০।
তথ্যসূত্র
- ↑ "Future Tours Programme" (পিডিএফ)। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "PCB mulls Sri Lanka as venue for West Indies series"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৬।
- ↑ "Pakistan's first day-night Test against WI in October"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ "West Indies tour to Pakistan Tour Itinerary announced"। Pakistan Cricket Board। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ "Pakistan and West Indies to play day-night Test in Dubai"। BBC Sport। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ "Spinner Warrican in West Indies squad for UAE Tests"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Move to give Afridi farewell series shelved"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Pakistan recall Umar Akmal, Asad Shafiq for WI ODIs"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ "Kraigg Brathwaite in ODI squad, call-ups for Rovman Powell, Pooran"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Akmal returns to Pakistan's T20 squad"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Imad Wasim's 5 for 14 dismantles West Indies"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Shoaib Malik becomes 3rd Pakistan cricketer to complete 1500 runs in T20Is"। Sports Keeda। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Sohail Tanvir, Hasan Ali star as Pakistan beat West Indies for T20 series win"। Zee News। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Pakistan stroll to 3-0 after Imad three-for"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬।