টিটিয়ুস-বোডে নীতি
টিটিয়ুস-বোডে নীতি সূর্য থেকে গ্রহগুলির দূরত্বের আসন্ন আপেক্ষিক মানসমূহের মধ্যে এক চমৎকার গাণিতিক সম্পর্ক প্রকাশ করে। ০, ১, ২, ৪, ৮, ১৬, ৩২, ৬৪, ... ... ইত্যাদি সংখ্যাগুলির প্রতিটিকে ৩ দিয়ে গুণ করে ৪ যোগ করে ১০ দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যায়: ০.৪, ০.৭, ১.০, ১.৬, ২.৮, ৫.২, ১০.০, ১৯.৬, ... ... । সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্বকে একক ধরা হলে এই মানগুলি অন্যান্য গ্রহের দূরত্ব নির্দেশ করবে। সাধারণভাবে সূর্য থেকে দূরত্ব ; যেখানে শুক্র গ্রহের জন্য , পৃথিবীর জন্য ইত্যাদি। মঙ্গল ও বৃহস্পতির মধ্যে ২.৮ দূরত্বে কোন গ্রহ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, পরবর্তীতে সেখানে সিরেস(ceres) নামক গ্রহাণুটি আবিষ্কৃত হয়।
এই নীতিটি প্রথমে ইয়োহান টিটিয়ুস আবিষ্কার করেন এবং পরে ১৭৭২ সালে ইয়োহান এলার্ট বোডে একে জনপ্রিয় করে তোলেন।
গ্রহ | k | T-B নিয়মে দূরত্ব | প্রকৃত দূরত্ব |
---|---|---|---|
বুধ | ০ | ০.৪ | ০.৩৯ |
শুক্র | ১ | ০.৭ | ০.৭২ |
পৃথিবী | ২ | ১.০ | ১.০০ |
মঙ্গল | ৪ | ১.৬ | ১.৫২ |
গ্রহাণুপুঞ্জ১ | ৮ | ২.৮ | ২.৭৭ |
বৃহস্পতি | ১৬ | ৫.২ | ৫.২০ |
শনি | ৩২ | ১০.০ | ৯.৫৪ |
ইউরেনাস | ৬৪ | ১৯.৬ | ১৯.২ |
নেপচুন | ১২৮ | ৩৮.৮ | ৩০.০৬ |
প্লুটো | ২৫৬ | ৭৭.২ | ৩৯.৪৪ |
১ k=৮ কে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে গ্রহাণুপুঞ্জকে একটি স্বতন্ত্র গ্রহ হিসাবে বিবেচনা করতে হয়। গ্রহাণুপুঞ্জ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকার কারণে সূর্য থেকে এর দূরত্বের জন্য যে মান(২.৭৭ মহাজাগতিক একক) গৃহীত হয়েছে তা আসলে পুঞ্জের অন্তর্গত সর্ববৃহৎ গ্রহাণু(সিরেসের) এর দূরত্ব।