মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী
মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী | |
---|---|
জন্ম | ১১ মার্চ ১৯২৫ করটিয়া, টাঙ্গাইল, বাংলাদেশ |
মৃত্যু | ১৬ জানুয়ারি ২০১২ ঢাকা, বাংলাদেশ |
সমাধি | গড়াই মাজার, করটিয়া, টাঙ্গাইল |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
অন্যান্য নাম | সেলিম |
আন্দোলন | হেযবুত তওহীদ |
দাম্পত্য সঙ্গী | মরিয়ম সাত্তার (বি. ১৯৬৯; মৃ. ১৯৯৬) খাদিজা খাতুন (বি. ১৯৯৯–২০১২) |
সন্তান | ৪ |
মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী (১৯২৫-২০১২) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ যিনি মূলত ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেযবুত তওহীদ প্রতিষ্ঠার জন্য পরিচিত।
প্রারম্ভিক জীবন
বায়াজীদ খান পন্নী ১১ মার্চ ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে টাংগাইলের করোটিয়ায় পন্নী জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোহাম্মদ মেহেদী আলী খান পন্নী।
শিক্ষা জীবন
শৈশবে স্থানীয় রোকাইয়া উচ্চ মাদ্রাসায় তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন এবং ১৯৪২ সালে মেট্রিকুলেশন পাশ করে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে ভর্তি হন কিন্তু শেষ পর্যন্ত কলকাতায় পাড়ি জমান। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে (বর্তমান মৌলানা আজাদ কলেজ) থেকে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক সমাপ্ত করেন।
কর্ম জীবন
১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর তিনি তার নিজ গ্রামে ফিরে আসেন এবং বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করেন। পঞ্চাশের দশকে তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শুরু করেন।
রাজনৈতিক জীবন
১৯৬৩ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদে টাঙ্গাইল-বাসাইল নির্বাচনী আসনে স্বতন্ত্র পদপ্রার্থী হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।[১] এসময় তিনি প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হিসেবে ‘কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এ্যাসোসিয়েশন’ এর সদস্যপদও লাভ করেন। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] সংসদ সদস্য হওয়ার পর ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি করটিয়ায় হায়দার আলী রেড ক্রস ম্যাটার্নিটি অ্যান্ড চাইল্ড ওয়েলফেয়ার হসপিটাল প্রতিষ্ঠা করেন।
হেযবুত তওহীদ প্রতিষ্ঠা
১৯৯৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি টাংগাইলের করোটিয়া হেযবুত তওহীদ নামে একটি ধর্মভিত্তিক দল গঠন করেন। দলটির দাবি অনুয়ায়ী এটি অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংস্কারমূলক আন্দোলন।
বিতর্ক
২০০৮ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকায় কালো তালিকাভুক্ত হয় সংগঠনটি।[২] ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংগঠনটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে চিঠি জারি করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকও এ বিষয়ক সতর্কতা জারি করে সংগঠন ও এর অঙ্গ সংগঠনের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলে।[৩] বিভিন্ন সময় সংগঠনটি নিষিদ্ধ করার কথাও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানা যায়।[৪][৫]
লেখালেখি
জীবজন্তু শিকারের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বাঘ-বন-বন্দুক নামক একটি বই লেখেন।[৬] এছাড়াও তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসা, ধর্ম ও রাজনৈতিক প্রসঙ্গে প্রবন্ধ লিখেছেন।
তার লেখা অন্যান্য বইসমূহ
- দাজ্জাল? ইহুদী-খ্রীস্টান ‘সভ্যতা’
- ইসলামের প্রকৃত রুপরেখা
- দ্য লস্ট ইসলাম
- জেহাদ, কেতাল ও সন্ত্রাস
- এ ইসলাম ইসলামই নয়।
পারিবারিক জীবন
১৯৬৯ সালে তিনি মরিয়ম সাত্তারকে বিয়ে করেন যিনি ১৯৯৬ সালে মারা যান। পরে তিনি ১৯৯৯ সালে খাদিজা খাতুনকে বিয়ে করেন। তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ের পিতা।
মৃত্যু
বায়াজীদ খান পন্নী ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যসূত্র
- ↑ "আত্মীয়তার বন্ধনে রাজনীতি-৫"।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "হিযবুত তাওহীদ নিষিদ্ধের চিন্তা করছে সরকার"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৬-১৩।
- ↑ "'হিজবুত তাওহীদ' নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্কতা"।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "হিযবুত তাওহীদ নিষিদ্ধের চিন্তা করছে সরকার"।
- ↑ "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তৎপর নিষিদ্ধ হিজবুত তাওহীদ"। বাংলাদেশ প্রতিদিন।
- ↑ মাহমুদ, ইফতেখার। "দেশে বড় বিপদে চিতা বাঘ"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১৬।