সামসুন

সামসুন
Metropolitan municipality
Clockwise from top right: Samsunum-1 ship and coast, Statue of Honor, Atatürk Culture Centre, Bandırma Ferry and National Struggle Park Open Air Museum, Saathane Square, Store 55
Clockwise from top right: Samsunum-1 ship and coast, Statue of Honor, Atatürk Culture Centre, Bandırma Ferry and National Struggle Park Open Air Museum, Saathane Square, Store 55
সামসুন তুরস্ক-এ অবস্থিত
সামসুন
সামসুন
সামসুন কৃষ্ণ সাগর-এ অবস্থিত
সামসুন
সামসুন
তুরস্কের অভ্যন্তরে সামসুনের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ৪১°১৭′২৫″ উত্তর ৩৬°২০′০১″ পূর্ব / ৪১.২৯০২৮° উত্তর ৩৬.৩৩৩৬১° পূর্ব / 41.29028; 36.33361
দেশতুরস্ক
RegionBlack Sea
ProvinceSamsun
বরোসমূহ
তালিকা
  • Atakum
  • Canik
  • İlkadım
  • Tekkeköy
সরকার
 • নগরপ্রধানMustafa Demir (AK Party)
আয়তন
 • Metropolitan municipality১,০৫৫ বর্গকিমি (৪০৭ বর্গমাইল)
উচ্চতা৪ মিটার (১৩ ফুট)
জনসংখ্যা (2021)
 • Metropolitan municipality১৩,৫৬,০৭৯
 • জনঘনত্ব৫৭৩/বর্গকিমি (১,৪৮০/বর্গমাইল)
 • পৌর এলাকা৭,১০,০০০
সময় অঞ্চলTRT (ইউটিসি+03:00)
ডাক সংকেত55
এলাকা কোড(+90) 362
Licence plate55
ClimateCfa
ওয়েবসাইটwww.samsun.bel.tr www.samsun.gov.tr

সামসুন উত্তর তুরস্কের সামসুন প্রদেশের (সামসুন ইল) রাজধানী। এটির ঐতিহাসিক গ্রিক নাম সাম্পসোউনতা (গ্রিক: Σαμψούντα) ও আমিসুস (Αμισός)। এটি কৃষ্ণ সাগরের দক্ষিণ উপকূলের বৃহত্তম নগরী। শহরটী কিজিল ও ইয়েশিল নদীগুলির ব-দ্বীপগুলির মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। ২০২১ সালে এখানে ৭ লক্ষ ১০ হাজার লোকের বাস ছিল।[১] ১৯১৯ সালের ১৯শে মে মুস্তাফা কেমাল (কামাল আতাতুর্ক) সামসুন পদার্পণ করেন ও সেখানে জাতীয় প্রতিরোধের সূচনা করেন। এভাবে সামসুনে তুর্কি স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে এবং ১৯২৩ সালে এর সূত্র ধরে তুরস্ক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।[২]

আধুনিক সামসুন নগরীর কিছু উত্তর-পশ্চিমে একটি শৈলান্তরীপের উপরে খ্রিস্টপূর্ব ৭ম শতকে আমিসুস নগরীটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি সিনোপ শহরের পরে কৃষ্ণ সাগরের সবচেয়ে সমৃদ্ধ মিলেসীয় উপনিবেশ ছিল। গ্রিক সেনাপতি আলেকজান্ডার ৪র্থ শতকে আনাতোলিয়া বিজয় করলে আমিসুস পোন্তুসের রাজাদের অধীনে চলে আসে এবং এর সমৃদ্ধি অব্যাহত থাকে। রোমানরা ৭১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে শহরটি দখল করলে শহরের প্রতিরক্ষা বাহিনী নিজেরাই এটিকে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়। বাইজেন্টীয় রোমান সাম্রাজ্যের সময় এটি আমিসোস নামে পরিচিত ছিল। ১২শ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে সেলজুক তুর্কিরা শহরটি বিজয় করে এর নাম সামসুন রাখে। সেলজুক শাসনামলে শহরটি ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার মধ্যকার বাণিজ্যে সিনোপকে ছাড়িয়ে যায়। ইতালির জেনোয়া শহরের বণিকদের এক বৃহৎ বাণিজ্যকুঠি স্থাপিত হয় সেখানে। ১৪শ শতকের শেষে উসমানীয় সুলতান ১ম বায়েজিদ শহরটি বিজয় করেন। তবে ১৪০২ সালে তৈমুর লংয়ের সাথে উসমানীয়দের হারের পর সেটি তুর্কমেন কান্দার রাজ্যের অংশে পরিণত হয়। ১৪২৫ সালে উসমানীয় শহরটি পুনর্বিজয় করার আগে জেনোয়া থেকে আগত অভিবাসীরা শহরটি পুড়িয়ে দেয়।

আধুনিক সামসুন নগরীটির পূর্ব থেকে পশ্চিমে একটি প্রশস্ত রাজসড়ক চলে গিয়েছে, যার দুপাশে রয়েছে সরকারি কার্যালয়, হোটেল ও দোকানের সমাহার। শহরটি একটি উর্বর কৃষি অঞ্চলে অবস্থিত এবং মধ্য কৃষ্ণ সাগর উপকূলের একটি প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র। পাশের বাফরা জেলাতে (বাফরা ইলচে) তামাক চাষ অঞ্চল এবং কৃষ্ণ সাগরের আধুনিক জাহাজের প্রচলন হবার সাথে সাথে ১৯শ শতকের শেষভাগে শহরটি অর্থনৈতিক বিকাশ হয়। শহরের পোতাশ্রয়টি সুরক্ষিত ও আধুনিক এবং ১৯৬০-এর দশকে এর সম্প্রসারণ সাধন করা হয়। ফলে এটি কৃষ্ণ সাগরের উপকূলে তুরস্কের বৃহত্তম বন্দরে পরিণত হয়। এখান থেকে পশ্চাতের কৃষি অঞ্চল থেকে আগত তুলা ও তামাকের পাশাপাশি শহরের কারখানায় উৎপাদিত সিগারেট, সার ও বস্ত্র রপ্তানি করা হয়। সামসুন অভ্যন্তরীণ আনাতোলিয়া থেকে আগত একটি রেলপথের অন্তিম স্টেশন। এই রেলপথ ধরে দিভরিই থেকে লোহার আকরিক নিয়ে আসা হয়। শহর থেকে বিমানপথে আংকারা ও ইস্তাম্বুলের যোগাযোগ আছে এবং সড়কপথে আংকারা ও সিভাসের সংযোগ আছে। এখানে ১৯৭৫ সালে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়, যার নাম ওন্দোকুজ মাইস (১৯শে মে) বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে বেশকিছু হাসপাতাল, তিনটি বড় বিপণীকেন্দ্র, সামসুনস্পোর ফুটবল ক্লাব, একটি গীতিনাট্যশালা ও একটি বৃহৎ, আধুনিক শিল্পোৎপাদন এলাকা আছে।

তথ্যসূত্র

  1. "İlçe ilçe nüfus istatistikleri" [County district population statistics]। www.haberturk.com (Turkish ভাষায়)। ২০২১-০২-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৭ 
  2. Özgören, Aydın (২০১৯)। La question du Pont-Euxin। Türk Tarih Kurumu। পৃষ্ঠা 135। আইএসবিএন 978-975-16-3633-1