এস্তোনিয়া জাতীয় ফুটবল দল

এস্তোনিয়া
দলের লোগো
ডাকনামSinisärgid (নীল শার্ট)
অ্যাসোসিয়েশনএস্তোনীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
কনফেডারেশনউয়েফা (ইউরোপ)
প্রধান কোচটমাস হাবেরলি
অধিনায়করাগনার ক্লাভান
সর্বাধিক ম্যাচমার্টিন রাইম (১৫৭)
শীর্ষ গোলদাতাআন্দ্রেস ওপের (৩৮)
মাঠএ. লে কক এরিনা
ফিফা কোডEST
ওয়েবসাইটwww.jalgpall.ee
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১১১ হ্রাস ১ (২০ জুলাই ২০২৩)[১]
সর্বোচ্চ৪৭ (মার্চ ২০১২)
সর্বনিম্ন১৩৭ (অক্টোবর ২০০৮)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১০৪ বৃদ্ধি ১২ (৩০ এপ্রিল ২০২২)[২]
সর্বোচ্চ৫১ (আগস্ট ১৯২৭, সেপ্টেম্বর ১৯২৯, আগস্ট ১৯৩০)
সর্বনিম্ন১৭৫ (আগস্ট ১৯৯৫, মে ১৯৯৬)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 ফিনল্যান্ড ৬–০ এস্তোনিয়া 
(হেলসিঙ্কি, ফিনল্যান্ড; ১৭ অক্টোবর ১৯২০)
বৃহত্তম জয়
 এস্তোনিয়া ৬–০ লিথুয়ানিয়া 
(তাল্লিন, এস্তোনিয়া; ২৬ জুলাই ১৯২৮)
 জিব্রাল্টার ০–৬ এস্তোনিয়া 
(ফারু/লোলে, পর্তুগাল; ৭ অক্টোবর ২০১৭)
বৃহত্তম পরাজয়
 ফিনল্যান্ড ১০–২ এস্তোনিয়া 
(হেলসিঙ্কি, ফিনল্যান্ড; ১১ আগস্ট ১৯২২)
 জার্মানি ৮–০ এস্তোনিয়া 
(মাইনৎস, জার্মানি; ১১ জুন ২০১৯)

এস্তোনিয়া জাতীয় ফুটবল দল (এস্তোনীয়: Eesti jalgpallikoondis, ইংরেজি: Estonia national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে এস্তোনিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম এস্তোনিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এস্তোনীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯২৩ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৯২ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯২০ সালের ১৭ই অক্টোবর তারিখে, এস্তোনিয়া প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে এস্তোনিয়া ফিনল্যান্ডের কাছে ৬–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

১৪,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট এ. লে কক এরিনায় নীল শার্ট নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিনে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন টমাস হাবেরলি এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন কাইয়ারি কালচোর রক্ষণভাগের খেলোয়াড় রাগনার ক্লাভান।

এস্তোনিয়া এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও এস্তোনিয়া এপর্যন্ত একবারও অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি।

মার্টিন রাইম, মার্কো ক্রিস্টাল, আন্দ্রেস ওপের, কনস্টান্টিন ভাসিলিয়েভ এবং ইন্দ্রেক জেলিনস্কির মতো খেলোয়াড়গণ এস্তোনিয়ার জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ২০১২ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে এস্তোনিয়া তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (৪৭তম) অর্জন করে এবং ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ১৩৭তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে এস্তোনিয়ার সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ৫১তম (যা তারা সর্বপ্রথম ১৯২৭ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১৭৫। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২০ জুলাই ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[১]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১০৯ হ্রাস  কসোভো ১১৭৯.৬৯
১১০ হ্রাস  তাজিকিস্তান ১১৭৯.৫৪
১১১ হ্রাস  এস্তোনিয়া ১১৭৯.৩
১১২ হ্রাস  গিনি-বিসাউ ১১৭৮.৯৩
১১৩ অপরিবর্তিত  থাইল্যান্ড ১১৭৪.৩৭
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
৩০ এপ্রিল ২০২২ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[২]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১০২ বৃদ্ধি  লুক্সেমবুর্গ ১৩৯৩
১০৩ বৃদ্ধি ১৮  থাইল্যান্ড ১৩৮৭
১০৪ বৃদ্ধি ১২  এস্তোনিয়া ১৩৮৬
১০৫ হ্রাস ১০  গিনি ১৩৮৪
১০৬ বৃদ্ধি  অ্যাঙ্গোলা ১৩৮৩

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য

ফিফা বিশ্বকাপ

ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
ইতালি ১৯৩৪ উত্তীর্ণ হয়নি
ফ্রান্স ১৯৩৮ ১১
ব্রাজিল ১৯৫০ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪
সুইডেন ১৯৫৮
চিলি ১৯৬২
ইংল্যান্ড ১৯৬৬
মেক্সিকো ১৯৭০
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮
স্পেন ১৯৮২
মেক্সিকো ১৯৮৬
ইতালি ১৯৯০
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪ উত্তীর্ণ হয়নি ১০ ২৭
ফ্রান্স ১৯৯৮ ১০ ১৬
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২ ১০ ১০ ২৬
জার্মানি ২০০৬ ১২ ১৬ ১৭
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ ১০ ২৪
ব্রাজিল ২০১৪ ১০ ২০
রাশিয়া ২০১৮ ১০ ১৩ ১৯
কাতার ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট ০/২১ ৭৬ ১৬ ১১ ৪৯ ৬৫ ১৬৬

তথ্যসূত্র

  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২০ জুলাই ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০২৩ 
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ৩০ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২২ 

বহিঃসংযোগ