গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর ভূগোল
গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো কঙ্গো নদী অববাহিকার অংশ গঠন করেছে যার আয়তন প্রায় ১০,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার (৩,৯০,০০০ বর্গ মাইল)। কঙ্গো নদীর উত্তর তীরের ভূমির একটি সরু ফালির মাধ্যমে দেশটি আটলান্টিক মহাসাগরের সাথে সংযুক্ত হয়েছে।
বিস্তৃত নিচু অধিশয়িত অঞ্চলটি পশ্চিমের দিকে ঢালু একটি মালভূমি-আকৃতির অববাহিকা, ক্রান্তীয় অতিবৃষ্টি অরণ্যে ঢাকা এবং নদী পরস্পর ছেদ করেছে। দেশটির একটি বৃহৎ অঞ্চল বিশ্ব বন্যপ্রাণী তহবিলের মাধ্যমে মধ্য কঙ্গোর নিম্নভূমি বনকে পরিবেশগত অঞ্চল হিসাবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। বনভূমিটি পশ্চিমে পর্বতমালার দ্বারা বেষ্টিত এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে মালভূমি সাভানায় সম্পূর্ণভাবে মিশে গেছে।
উত্তরে কঙ্গো নদীর ওপারে ঘন তৃণভূমি। রুয়ানযোরি পর্বতশ্রেণীর উঁচু পর্বতমালা (কিছু কিছু ৫,০০০ মিটার বা ১৬,০০০ ফুট এর বেশি উচ্চতা বিশিষ্ট) রুয়ান্ডা এবং উগান্ডার সাথে পূর্ব সীমান্তে দেখা যায় (এই অঞ্চলের বিবরণের জন্য আলবার্টিন ফাটল পার্বত্য অরণ্য দেখুন)।
জলবায়ু

গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র নিরক্ষরেখার উপর অবস্থিত, নিরক্ষরেখার উত্তরে দেশের এক-তৃতীয়াংশ এবং দক্ষিণে দুই-তৃতীয়াংশ অবস্থিত। নদী অববাহিকায় জলবায়ু উষ্ণ এবং আর্দ্র এবং দক্ষিণের পার্বত্যাঞ্চলে শীতল এবং শুষ্ক এবং রুয়ানযোরি পর্বতমালায় শীতল, আল্পাইন জলবায়ু রয়েছে।
বর্ষা মৌসুম নিরক্ষরেখার দক্ষিণে অক্টোবর থেকে মে পর্যন্ত এবং নিরক্ষরেখার উত্তরে এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত থাকে। নিরক্ষরেখা বরাবর সারা বছর ব্যাপী মোটামুটি নিয়মিত বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টি মৌসুমে প্রায়শই প্রচণ্ড বজ্রবৃষ্টি হয় তবে তা খুব কমই কয়েক ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয়। সারা দেশে গড় বৃষ্টিপাত প্রায় ১,০৭০ মিমি (৪২ ইঞ্চি)।
গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র নিরক্ষরেখার উপর অবস্থিত, নিরক্ষরেখার উত্তরে দেশের এক-তৃতীয়াংশ এবং দক্ষিণে দুই-তৃতীয়াংশ অবস্থিত। নদী অববাহিকায় জলবায়ু উষ্ণ এবং আর্দ্র এবং দক্ষিণের পার্বত্যাঞ্চলে শীতল এবং শুষ্ক এবং রুয়ানযোরি পর্বতমালায় শীতল, আল্পাইন জলবায়ু রয়েছে।
উপাত্ত
কঙ্গোর অবস্থান: মধ্য আফ্রিকা, জাম্বিয়া এর উত্তরে, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র এর দক্ষিণে
ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক: ০°০০′ উত্তর ২৫°০০′ পূর্ব / ০.০০০° উত্তর ২৫.০০০° পূর্ব
মহাদেশ: আফ্রিকা
আয়তন:
মোট:
২৩,৪৪,৮৫৮ বর্গ কিমি
ভূমি:
২২,৬৭,০৪৮ বর্গ কিমি
পানি:
৭৭,১০ বর্গ কিমি
তুলনামূলক আয়তন: বিশ্বের একাদশ বৃহত্তম দেশ (আফ্রিকার বৃহত্তম দেশ); এটি আলজেরিয়ার চেয়ে ছোট তবে গ্রিনল্যান্ড এবং সৌদি আরবের চেয়ে বড়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার চেয়ে কিছুটা বড়, টেক্সাসের আকারের তিনগুণ এবং পুরো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আকারের প্রায় এক চতুর্থাংশ।
স্থল সীমানা:
মোট:
১০,৪৮১ কিমি
সীমান্তবর্তী দেশ:
"অ্যাঙ্গোলা ২,৬৪৬ কিমি, বুরুন্ডি ২৩৬ কিমি, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র ১,৭৪৭ কিমি, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ১,২২৯ কিমি, রুয়ান্ডা ২২১ কিমি, দক্ষিণ সুদান ৭১৪ কিমি, তানজানিয়া ৪৭৯ কিমি, উগান্ডা ৮৭৭ কিমি, জাম্বিয়া ২,৩৩২ কিমি"
উপকূলরেখা: ৩৭ কিমি (২৩ মা).
সামুদ্রিক দাবি:
আঞ্চলিক সমুদ্র:
১২ নটিক্যাল মাইল (২২ কিমি)
একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল:
প্রতিবেশীদের সাথে সীমানা
জলবায়ু: ক্রান্তীয়; নিরক্ষীয় নদী অববাহিকায় উষ্ণ এবং আর্দ্র জলবায়ু; দক্ষিণের পার্বত্য অঞ্চল শীতলক এবং শুষ্ক; পূর্ব দিকের পার্বত্য অঞ্চল এবং রুয়ানযোরি পর্বতমালা শীতলক-ঠান্ডা এবং জলীয়; নিরক্ষীয় উত্তরে - এপ্রিল থেকে অক্টোবর আর্দ্র মৌসুম, ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি শুষ্ক মৌসুম; নিরক্ষীয় দক্ষিণ - নভেম্বর থেকে মার্চ আর্দ্র মৌসুম, এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত শুষ্ক মৌসুম।

ভূখণ্ড: ক্রান্তীয় অতিবৃষ্টি অরণ্য দ্বারা আচ্ছাদিত বিশাল কেন্দ্রীয় মালভূমি, পশ্চিমে পর্বত দ্বারা বেষ্টিত দক্ষিণে/দক্ষিণ-পশ্চিমে সমভূমি এবং সভানা এবং উত্তরে তৃণভূমি। পূর্ব সীমান্তে রুয়ানযোরি পর্বতশ্রেণীর উঁচু পর্বতমালা।
চরম উচ্চতা:
সর্বনিম্ন বিন্দু:
আটলান্টিক মহাসাগর ০ মিটার
সর্বোচ্চ বিন্দু:
মন্ট এনগালিমা (স্ট্যানলি পর্বত) -এর মার্গুয়েরাইট শৃঙ্গ ৫,১১০ মিটার
প্রাকৃতিক সম্পদ: কোবাল্ট, তামা, নিওবিয়াম, খনিজ তেল, শিল্পজাত ও রত্ন হীরা, স্বর্ণ, রৌপ্য, দস্তা, ম্যাঙ্গানিজ, টিন, ইউরেনিয়াম, কয়লা, জলবিদ্যুৎ, কাঠ
ভূমির ব্যবহার:
আবাদী জমি:
৩.০৯%
স্থায়ী ফসল:
০.৩৬%
অন্যান্য:
৯৬.৫৫ (২০১২ সালে হিসাবকৃত)
সেচ সম্পন্ন ভূমি: ১০৫ বর্গ কিমি (২০০৩)
মোট পুনর্নবীকরণযোগ্য পানি সম্পদ: ১,২৮৩ ঘন কিমি (২০১১)
স্বাদু পানির ব্যবহার (গার্হস্থ্য/শিল্প/কৃষি)
মোট: ০.৬৮ ঘন কিমি/বছর (৬৮%/২১%/১১%)
মাথা পিছু: ১১.২৫ ঘন মিটার/বছর (২০০৫)
প্রাকৃতিক দুর্যোগ:
দক্ষিণে পর্যায়ক্রমিক খরা; কঙ্গো নদীর বন্যা (মৌসুমী); পূর্ব দিকে আলবার্টিন ফাটলে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে
পরিবেশ - বর্তমান সমস্যা: অবৈধ শিকার বন্যপ্রাণীর সংখ্যাকে হুমকীতে ফেলেছে (উদাহরণস্বরূপ আফ্রিকান বন্য কুকুর, লাইকান পিকটাস এখন অতিরিক্ত জনসংখ্যা ও শিকারের কারণে কঙ্গো থেকে বিলুপ্ত হওয়ার পথে);[১] পানি দূষণ; অরণ্যবিনাশ (মূলত আদিবাসী কৃষকদের ভূমি কৃষি জমিতে রূপান্তরকরণের কারণে[২]); উদ্বাস্তুরা উল্লেখযোগ্যভাবে অরণ্যবিনাশ, মাটি ক্ষয় এবং বন্যপ্রাণী শিকারের জন্য দায়ী; খনিজ পদার্থের খনন (কোল্টান - ক্যাপাসিটর, হীরা এবং সোনা তৈরিতে ব্যবহৃত খনিজ পদার্থ) পরিবেশগত ক্ষতির কারণ।
পরিবেশ - আন্তর্জাতিক চুক্তি:
চুক্তির পক্ষে:
জীববৈচিত্র্য, মরুকরণ, বিপন্ন প্রজাতি, বিপজ্জনক বর্জ্য, সমুদ্র আইন, সামুদ্রিক বর্জ্য অপসারণ, পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ, ওজোন স্তর সুরক্ষা, ক্রান্তীয় কাঠ ৮৩, ক্রান্তীয় কাঠ ৯৪, জলাভূমি
স্বাক্ষরিত, কিন্তু অনুমোদিত নয়:
পরিবেশগত পরিবর্তন
ভূগোল:
গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো আফ্রিকার ছয়টি রাষ্ট্রের মধ্যে একটি যা নিরক্ষরেখার উপর অবস্থিত; এটি আফ্রিকার বৃহত্তম রাষ্ট্র এবং এর মধ্য দিয়ে নিরক্ষরেখা অতিক্রম করছে। কঙ্গো নদীর নিয়ন্ত্রণে এক ফালি ভূখণ্ড কঙ্গোর দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে প্রবেশ করার একমাত্র পথ; নদীর মধ্য অববাহিকা এবং পূর্ব পার্বত্য অঞ্চলে ঘন ক্রান্তীয় অতিবৃষ্টি অরণ্য অবস্থিত।
চরম বিন্দু
এটি গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর চরম বিন্দুসমূহের একটি তালিকা, যে বিন্দুগুলি অন্য যে কোন স্থানের চেয়ে আরও উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব বা পশ্চিমে রয়েছে।
- সর্ব উত্তরের বিন্দু – ওরিয়েন্টাল প্রদেশের সিআর-এর এমবাগা শহরের পশ্চিমে বোমু নদীতে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের সীমান্তে নামহীন স্থান
- সর্ব পূর্বের বিন্দু – দেশের উত্তর অংশ উগান্ডার সীমান্তে ওরিয়েন্টেল প্রদেশের মাহাগি বন্দরের ঠিক পশ্চিমে অ্যালবার্ট হ্রদে প্রবেশ করেছে সেই বিন্দু
- সর্ব দক্ষিণের বিন্দু – জাম্বিয়ার সীমান্তে জাম্বিয়ার এনদাবালা শহরের ঠিক উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত কাতাঙ্গা প্রদেশের নামহীন স্থান
- সর্ব পশ্চিমের বিন্দু – অ্যাঙ্গোলার ক্যাবিন্দার সাথে সীমানাটি আটলান্টিক মহাসাগরে যে স্থানে প্রবেশ করেছে, বাস-কঙ্গো প্রদেশ
আরও দেখুন
- গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের উপবিভাগ
- গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র
- গণতান্ত্রিক কঙ্গোর প্রজাতন্ত্রের স্থানের পূর্ব নাম
তথ্যসূত্র
এই নিবন্ধটিতে সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক থেকে পাবলিক ডোমেইন কাজসমূহ অন্তর্ভুক্ত যা পাওয়া যাবে এখানে ।