বিষুবীয় গিনি জাতীয় ফুটবল দল

বিষুবীয় গিনি
দলের লোগো
ডাকনামজাতীয় বজ্রধ্বনি
অ্যাসোসিয়েশনবিষুবীয় গিনীয় ফুটবল ফেডারেশন
কনফেডারেশনক্যাফ (আফ্রিকা)
প্রধান কোচহুয়ান মিকা
অধিনায়কএমিলিও এনসুয়ে
সর্বাধিক ম্যাচইবান সারান্দোনা (৪১)
শীর্ষ গোলদাতাএমিলিও এনসুয়ে (১১)
মাঠমালাবো স্টেডিয়াম
ফিফা কোডEQG
ওয়েবসাইটwww.feguifut.org
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ৯১ অপরিবর্তিত (২০ জুলাই ২০২৩)[১]
সর্বোচ্চ৪৯ (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)
সর্বনিম্ন১৯৫ (ডিসেম্বর ১৯৯৮)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ৯৪ বৃদ্ধি ২৮ (৩০ এপ্রিল ২০২২)[২]
সর্বোচ্চ১০৭ (জানুয়ারি ২০১৫)
সর্বনিম্ন১৮৭ (মার্চ ২০০৩)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 চীন ৬–২ বিষুবীয় গিনি 
(চীন; ২৩ মে ১৯৭৫)
বৃহত্তম জয়
 বিষুবীয় গিনি ৪–০ দক্ষিণ সুদান 
(মালাবো, বিষুবীয় গিনি; ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬)
বৃহত্তম পরাজয়
 কঙ্গো ৬–০ বিষুবীয় গিনি 
(কঙ্গো প্রজাতন্ত্র; ১৩ ডিসেম্বর ১৯৯০)
আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্স
অংশগ্রহণ২ (২০১২-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যচতুর্থ স্থান (২০১৫)

বিষুবীয় গিনি জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: Equatorial Guinea national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বিষুবীয় গিনির প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম বিষুবীয় গিনির ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিষুবীয় গিনীয় ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৮৬ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং একই বছর হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৭৫ সালের ২৩শে মে তারিখে, বিষুবীয় গিনি প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; চীনে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে বিষুবীয় গিনি চীনের কাছে ৬–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

১৫,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট মালাবো স্টেডিয়ামে জাতীয় বজ্রধ্বনি নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় বিষুবীয় গিনির রাজধানী মালাবোয় অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন হুয়ান মিকা এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন এপিওইএলের আক্রমণভাগের খেলোয়াড় এমিলিও এনসুয়ে।

বিষুবীয় গিনি এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্সে বিষুবীয় গিনি এপর্যন্ত ২ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ২০১৫ আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্সে চতুর্থ স্থান অর্জন করা, যেখানে তারা গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের সাথে ০–০ গোলে ড্র করার পর পেনাল্টি শুট-আউটে ৪–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

ইবান সারান্দোনা, ফেলিপে ওভোনো, হাবিয়ের বালবোয়া, এমিলিও এনসুয়ে এবং উবেনাল এদহোগোর মতো খেলোয়াড়গণ বিষুবীয় গিনির জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে বিষুবীয় গিনি তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (৪৯তম) অর্জন করে এবং ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ১৯৫তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে বিষুবীয় গিনির সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১০৭তম (যা তারা ২০১৫ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১৮৭। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২০ জুলাই ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[১]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
৮৯ অপরিবর্তিত  লুক্সেমবুর্গ ১২৬২.৭২
৯০ অপরিবর্তিত  আর্মেনিয়া ১২৫২.৬
৯১ অপরিবর্তিত  বিষুবীয় গিনি ১২৫১.৮৩
৯২ অপরিবর্তিত  উগান্ডা ১২৫০.৩২
৯৩ অপরিবর্তিত  বেনিন ১২৪৮.১৩
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
৩০ এপ্রিল ২০২২ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[২]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
৯৩ বৃদ্ধি ২২  গাম্বিয়া ১৪৩৯
৯৪ বৃদ্ধি ২৮  বিষুবীয় গিনি ১৪৩৮
৯৫ হ্রাস ৩৮  হন্ডুরাস ১৪৩৫
৯৬ হ্রাস  উগান্ডা ১৪৩৩

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য

ফিফা বিশ্বকাপ

ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
ইতালি ১৯৩৪
ফ্রান্স ১৯৩৮
ব্রাজিল ১৯৫০
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪
সুইডেন ১৯৫৮
চিলি ১৯৬২
ইংল্যান্ড ১৯৬৬
মেক্সিকো ১৯৭০
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮
স্পেন ১৯৮২
মেক্সিকো ১৯৮৬
ইতালি ১৯৯০
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪
ফ্রান্স ১৯৯৮
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২ উত্তীর্ণ হয়নি
জার্মানি ২০০৬
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ ১০
ব্রাজিল ২০১৪ ১৭
রাশিয়া ২০১৮
কাতার ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট ০/২১ ২০ ১৪ ১৭ ৩৬

তথ্যসূত্র

  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২০ জুলাই ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০২৩ 
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ৩০ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২২ 

বহিঃসংযোগ