কংস নদী
ভোগাই-কংস নদী | |
জলযান থেকে কংস নদীর দৃশ্য
| |
দেশসমূহ | বাংলাদেশ, ভারত |
---|---|
রাজ্য | মেঘালয় |
অঞ্চলসমূহ | সিলেট বিভাগ, ময়মনসিংহ বিভাগ |
জেলাসমূহ | সুনামগঞ্জ জেলা শেরপুর জেলা, নেত্রকোণা জেলা ময়মনসিংহ জেলা |
উৎস | গারো পাহাড় মেঘালয় ভারত |
মোহনা | বাউলাই নদী |
দৈর্ঘ্য | ২২৮ কিলোমিটার (১৪২ মাইল) |
অববাহিকা | ১,১৬৬ বর্গকিলোমিটার (৪৫০ বর্গমাইল) |
প্রবাহ | |
- গড় | ১,১২৬ m³/s (৩৯,৭৬৪ ft³/s) |
কংস নদী বা কংশ নদী বা কংসবতী নদী বা কংসাই নদী বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা ও সুনামগঞ্জ জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২২৮ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৯৫ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার।[১][২]
উৎপত্তি
ভারতের শিলং মালভূমির পূর্বভাগে তুরার কাছে গারো পাহাড়ে এ নদীর উৎপত্তি। উৎস থেকে দক্ষিণদিকে প্রবাহিত হওয়ার পর শেরপুর জেলার উত্তর ভাগে নালিতাবাড়ী উপজেলা সদরের প্রায় ১৬ কিমি উত্তর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সেখান থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে সোমেশ্বরী নদীতে মিশেছে। কংস ও সোমেশ্বরীর মিলিত স্রোত বাউলাই নদী নামে পরিচিত। [২]
প্রবাহ পথে নদীটি ফুলপুর, নালিতাবাড়ি, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, পূর্বধলা, দুর্গাপুর, নেত্রকোণা সদর, বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ ও ধর্মপাশা উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। [৩]
দৈর্ঘ্য
নদীটির দৈর্ঘ্য ২২৫ কিমি, প্রস্থ ১৬৫ মিটার, গভীরতা ১১.৫ (জারিয়া অঞ্চলে)। নদী অববাহিকার আয়তন ১১২৬ বর্গ কি.মি.। জোয়ার-ভাটার প্রভাবমুক্ত নদীটিতে সাধারণত বর্ষায় বন্যা হয় না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি রাবারডেম প্রকল্প রযেছে নদী অববাহিকায়। [৩]
পানিপ্রবাহ
বোগাই-কংস নদীর পানিপ্রবাহ বারোমাসী প্রকৃতির। মার্চ মাসে পানিপ্রবাহ কম থাকে। তখন প্রবাহের পরিমাণ থাকে ৯.৯৭ ঘন মিটার/সে.। জুলাই মাসে পানি প্রবাহ বেশি থাকে। এ সময় প্রবাহ বেড়ে দাঁড়ায় ১১৬৬ ঘনমিটার/সে.। [৩]
চিত্রসংগ্রহ
-
কংস নদীতীরে ব্যস্ত কৃষক
-
ধর্মপাশায় কংস নদীতীরে একটি ইটভাটা
-
দেওটুকুন ফেরীঘাট, পূর্বধলায় গ্রীষ্মে কংস নদীর রূপ(২০১৮)
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ২১৩-২১৪। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
- ↑ ক খ [১][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ nodimatrik.com[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]