তিতাস নদী
তিতাস নদী | |
দেশ | বাংলাদেশ |
---|---|
অঞ্চল | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা |
উৎস | মেঘনা নদী (আপার) |
মোহনা | মেঘনা নদী (আপার) |
দৈর্ঘ্য | ৫৮ কিলোমিটার (৩৬ মাইল) |
তিতাস নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে প্রবহমান নদীবিশেষ। এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রধান নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৫৮ কিলোমিটার এবং প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক ডাকাতিয়া নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ০৯
উৎপত্তি ও প্রবাহ
তিতাস নদীটি অন্যতম বৃহৎ মেঘনা নদী হতে উৎপত্তি লাভ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়ন দিয়ে প্রবেশ করে প্রথমে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়। আখাউড়া উপজেলায় এসে উত্তর-পশ্চিম দিক প্রবাহিত হয়ে নবীনগর উপজেলার নিকট এসে আবার মেঘনা নদীতে পতিত হয়। তিতাসের গড় দৈর্ঘ্য প্রায় ৯৮ কিলোমিটার।
তিতাস ও মেঘনা নদীকে ঘিরে যুগ যুগ ধরে বিশ্বের অন্যতম জনবহুল রাষ্ট্র বাংলাদেশে অনেক উপকথা প্রচলিত আছে। তন্মধ্যে একটি উপকথায় বলা হয়েছে যে, তিতাস নদী মেঘনার কন্যা বা মেয়ে।
গ্যাসক্ষেত্র
তিতাস নদীর উপকূলে প্রাপ্ত গ্যাসক্ষেত্রটি তিতাস গ্যাসক্ষেত্র নামে পরিচিত। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্রগুলির মধ্যে অন্যতম। গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস উৎপাদনকারী ক্ষেত্র হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত এই গ্যাসক্ষেত্রটি ১৯৬২ সালে পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি আবিষ্কার করেছিল। ২০০০ সাল পর্যন্ত এখানে ১৪টি কূপ খনন করা হয়েছে। প্রায় ৬৪ বর্গ কিলোমিটারব্যাপী বিস্তৃত এই গ্যাসক্ষেত্রটির ভূ-গঠন গম্বুজ প্রকৃতির।
২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকার তিতাস নদীর উপর একটি রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা প্রস্তাবনা আকারে গ্রহণ করেছেন।[১]
উপনদী ও শাখানদী
তিতাসের উপনদীগুলো হলোঃ হাওড়া, সোনাই, বিজনী ও লহর । এর শাখানদী হলো আলিয়াজুরি নদী ।
তিতাস একটি নদীর নাম
তিতাস নদী তীরবর্তী এলাকায় অবস্থানরত জেলে সম্প্রদায়ের বসবাস ও তাদের জীবন-সংগ্রামকে কেন্দ্র করে তিতাস একটি নদীর নাম শিরোনামে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় উপন্যাস রচনা করেছেন বিখ্যাত ঔপন্যাসিক অদ্বৈত মল্লবর্মণ যা ১৯৫৬ সালে মাসিক মোহম্মদী পত্রিকায় ১ম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় । পরবর্তীকালে তিতাস একটি নদীর নাম শিরোনামে বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্মিক ঘটক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। [২]
তথ্যসূত্র
- ↑ railway-technology.com
- ↑ "Titas Ekti Nadir Naam"। bdbazar.com। ২০০৭-০৩-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-০৩।